আজকাল ওয়েবডেস্ক: খুনের পর তরুণীর দেহ টুকরো টুকরো করে ছড়িয়ে দেওয়া হল শহরে! নর্দমায় ভাসছে নগ্ন তরুণীর দেহ। নেই মুণ্ডু, হাতের তালু। নয়ডার অভিজাত এলাকায় সকালে এহেন দৃশ্য দেখেই শিউরে উঠেছেন স্থানীয়রা। ঘটনাস্থলে পৌঁছে আঁতকে উঠল পুলিশও।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে নয়ডায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার নয়ডায় একটি ড্রেন থেকে মুণ্ডুহীন এক তরুণীর দেহ উদ্ধার করা। তরুণী নগ্ন অবস্থায় ছিলেন। নর্দমায় ভাসছিল তাঁর দেহ। তরুণীর দুই হাতের তালুও কাটা ছিল। বুধবার সকালে সেক্টর ১০৮ থেকে তরুণীর নিথর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, তরুণীর পরিচয় এখনও জানা যায়নি। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, তরুণীকে খুন করে দেহ টুকরো টুকরো করা হয়। এরপর সেক্টর ১০৮-এর এক নর্দমায় মুণ্ডুহীন দেহটি ফেলে পালিয়ে গেছে কেউ বা কারা। খুনটি অন্যত্র করা হয়েছিল বলেই তদন্তকারী আধিকারিকদের ধারণা।
আজ সকালে বিষয়টি প্রথমে চোখে পড়ে স্থানীয়দের। খবর পেয়েই তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। সেক্টর ৩৯ থানার পুলিশ জানিয়েছে, দ্রুত তরুণীর দেহ অটোপ্সির জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় কে বা কারা জড়িত, তা খতিয়ে দেখা শুরু করেছে পুলিশ। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গতকাল ওই এলাকায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পাশাপাশি খুনের মামলাও রুজু করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত মে মাসে আরেকটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল। লিভ-ইন সঙ্গীকে নৃশংসভাবে খুন যুবকের। হত্যাকাণ্ডের ছ'মাস পর অবশেষে পুলিশি জেরায় স্বীকার করল সে। এও জানাল, লিভ-ইন সঙ্গীর সঙ্গে তুমুল অশান্তির জেরেই তাঁর গলা কেটে খুন করে সে। তারপর খালের মধ্যে ভাসিয়ে দেয় মুণ্ডুহীন দেহ।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরাখণ্ডের উধম সিং নগর জেলায়। পুলিশ জানিয়েছে, খুনের ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২৪ সালে নভেম্বর মাসে। পূজা বিশ্বাসের সঙ্গে মোস্তাক আহমেদের পরিচয় হয়েছিল বহু আগে। তারপর গুরুগ্রামে দু'জনে লিভ ইন সম্পর্কে ছিলেন। পূজা একটি বিউটি পার্লারে কাজ করতেন। মোস্তাক ক্যাব চালক ছিল। পূজার সঙ্গে লিভ ইন সম্পর্কে থাকাকালীন গতবছর নভেম্বর মাসে উত্তরাখণ্ডে ফিরে এক তরুণীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয় মোস্তাক।
মোস্তাকের বিয়ের খবরটি জানতে পারেন পূজা। তারপরেই শুরু হয় তীব্র অশান্তি। পঞ্চায়েতে বিষয়টি নিয়ে আলোচনাও হয়। ১৬ নভেম্বর পূজার সঙ্গে দেখা করে, তনকপুর রোডের পাশে একটি খালের ধারে নিয়ে যায় মোস্তাক। সেখানে পূজার গলা কেটে খুন করে সে। এরপর মুণ্ডু একটি বস্তায় ভরে আর্বজনার মধ্যে ফেলে দেয়। মুণ্ডুহীন দেহটি কাপড়ে জড়িয়ে খালে জলের তোরে ভাসিয়ে দেয়।
কয়েক মাস বিষয়টি কেউই টের পাননি। দীর্ঘদিন বোনের খোঁজ না পাওয়ায় গত ডিসেম্বরে গুরুগ্রামের সেক্টর ৩ থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন পূজার দিদি। তারপরেই পুলিশ খোঁজ শুরু করে। মোস্তাকের খোঁজ পেয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালায়। কয়েক মাস জেরার পর পূজাকে খুনের ঘটনাটি স্বীকার করে সে। সেই খালের ঠিকানাও জানায় পুলিশকে। খালে তল্লাশি চালিয়ে দেহটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত মুণ্ডুটি পাওয়া যায়নি।
