আজকাল ওয়েবডেস্ক: সম্পর্কের পথে 'বাঁধা' হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন বাবা৷ 'বাঁধা' সরাতে নিজের বাবাকেই দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার ছক কষল নাবালিকা মেয়ে। গত সপ্তাহে গুজরাটের ভাদোদরায় এই নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, বাবাকে খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে প্রথমে অচেতন করে দেয় মেয়ে। এর পর প্রেমিকের হাতে বাবার খুন হওয়ার বীভৎস দৃশ্য জানলার বাইরে দাঁড়িয়ে ঠাণ্ডা মাথায় দেখেছে সে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত প্রেমিক ও তার বন্ধুকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। অভিযুক্ত নাবালিকাকে পাঠানো হয়েছে সরকারি হোমে। এই ঘটনায় রীতিমত চমকে উঠেছে গোটা দেশ। 

পুলিশের দাবি, নিহত ব্যক্তি শানা চাভড়া। তিনি তাঁর ১৭ বছরের মেয়ের সঙ্গে রঞ্জিত বাঘেলা (২৪) নামে এক যুবকের সম্পর্ক মানতে পারেননি। মাস কয়েক আগে ওই যুবক মেয়েটিকে নিয়ে পালিয়ে গেলে পুলিশ তাকে 'পকসো' আইনে গ্রেপ্তার করে। গত আগস্ট মাসে জামিন পায় রঞ্জিত। জেল থেকে বেরিয়েই দু’জনে মিলে শানাকে খুনের পরিকল্পনা করে।

তদন্তে জানা গিয়েছে, গত ১৮ ডিসেম্বর রাতে বাড়ির সবার খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দিয়েছিল মেয়েটি। বাবা অচেতন হয়ে পড়তেই সে খবর দেয় প্রেমিককে। রঞ্জিত তার এক বন্ধুকে নিয়ে ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত শানাকে এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করে। জানলার বাইরে দাঁড়িয়ে খুনের গোটা ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করে মেয়ে। পুলিশ সুপার সুশীল আগরওয়াল বলেন, “মেয়েটি গত তিন মাস ধরে এই খুনের ছক কষছিল। বাবা তাকে রাতে ঘরে তালাবন্ধ করে রাখতেন, যা সে মেনে নিতে পারেনি।”

ইতিমধ্যেই দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। একইসঙ্গে খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রটির খোঁজ চালাচ্ছে। প্রেমের জেরে এবং পারিবারিক অশান্তি যে শেষ পর্যন্ত এমন চরম হাড়হিম রূপ নিতে পারে, তা ভেবেই শিউরে উঠছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।