আজকাল ওযেবডেস্ক: দিদিমা তাঁদের সঙ্গে থাকুন, তা একেবারেই চাননি নাতি। তাই দিদিমাকে চেপে ধরে মারধর, দেওয়ালে মাথা ঠুকে দিয়ে আঘাত করার অভিযোগ উঠল নাতির বিরুদ্ধে। জখন বৃ্দ্ধা ভর্তি হাসপাতালে। বৃদ্ধাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে নার্স পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ ভারতীয় ন্যায় সংহিতার অন্তর্গত ধারায় ৮৮ বছরের বৃদ্ধাকে অন্যায়ভাবে আটকে রাখা এবং স্বেচ্ছায় আঘাত করা সম্পর্কিত মামলা দায়ের করেছে। শুরু হয়েছে তদন্ত।
মর্মান্তিক এই ঘটনা কেরলের কুন্নুরের। নির্যাতিতা বৃদ্ধা কান্নুর গ্রামীণ অঞ্চলের পায়্যান্নুর আমসোমের কান্দানকালি এলাকার বাসিন্দা।
জানা গিয়েছে যে, বৃদ্ধা কার্তিয়ায়ানি আম্মা তাঁর মেয়ে লীলাবতীর সঙ্গে থাকতেন। এই লীলাবতীর দুই ছেলে- রিজু ও রাহুল। লীলাবতী অসুস্থতার কারণে শয্যাশায়ী। ফলে মাঝবয়সী লীলাবতীর দেখাশুনোর জন্য তাঁর বাড়িতেই থাকেন বৃদ্ধা কার্তিয়ায়ানি আম্মা। সূত্র মতে, ভাগাভাগির পর লীলাবতী যেখানে থাকেন সেটি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছিলেন।
পরিবারের দাবি, লীলাবতীর ছেলে রিজু চাননি যে তাঁর দিদিমা তাঁদের বাড়িতে এসে থাকুন। কিন্তু, বৃদ্ধা কার্তিয়ায়ানি আম্মা থাকায় রিজুর তা বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যার ফলে সে দিদিমাকে অকথ্য অত্যাচার করে। বৃদ্ধার শীররিক আঘাত বেশ গুরুতর।
নির্যাতিতার আরেক নাতি রাহুল, স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে- আক্রমণের সময় রিজু নেশাগ্রস্ত ছিলেন। রাহুলের মতে, রিজু প্রথমে পরিবারকে বলেছিলেন যে, কার্তিয়ায়ানি আম্মা বাথরুমে পড়ে গিয়েছিলেন এবং আঘাত পেয়েছিলেন।
গুরুতর আঘাতের কারণে কার্তিয়ায়ানী আম্মাকে নিকটবর্তী পারিয়ারাম সরকারি মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন। তাঁর হাত-সহ দেহের নানা স্থানে কালশিটে দাগ পড়েছে। যা দেখে হাসপাতালের নার্স এফআইআর দায়ের করেন। এফআইআর অনুসারে, নাতি রিজু বৃদ্ধা কার্তিয়ায়ানি আম্মাকে চেপে ধরে মারধর করেছে এবং দেয়ালে মাথাও ঠুকে দিয়েছে।
পয়ন্নুর পুলিশ ভারতীয় ন্যায় সংহিতার অন্তর্গত ধারায় বৃদ্ধাকে অন্যায়ভাবে আটকে রাখা এবং স্বেচ্ছায় আঘাত করা সম্পর্কিত মামলা দায়ের করেছে। শুরু হয়েছে তদন্ত।
