আজকাল ওয়েবডেস্ক: বছর ৪০-এর পুনীত খুরানা। দিল্লির বাসিন্দা, দিল্লিরই এক ক্যাফের মালিক। তাঁর সঙ্গে যুগ্মভাবে ওই ক্যাফের মালিক ছিলেন তাঁর স্ত্রীও। দু’ জনের মধ্যে চলছিল বিবাহ বিচ্ছেদের মামলাও। তবে নতুন বছরের আগেই, নিজের জীবন শেষ করেছেন পুনীত।
শুরু থেকেই পুনীতের পরিবার তাঁর স্ত্রী এবং শ্বশুরবাড়ির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিল। পুনীত আত্মহত্যার আগে তাঁর ফোনে একটি ভিডিও রেকর্ড করেন। সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ওই ভিডিওতে পুনীত স্পষ্টতই মনিকার দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। তাঁর অভিযোগ, স্ত্রী মনিকা এবং মনিকার বাপের বাড়ির লোকজন পরপর অদ্ভুত দাবি করছিলেন তাঁর কাছে। হুমকিও দেওয়া হচ্ছিল। মিউচুয়াল বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনা কীভাবে দিনে দিনে তিক্ত পরিস্থতি তৈরি করেছিল, সেকথাও বলেছেন তিনি। দিনে দিনে নতুন নতুন আবদার আসছিল স্ত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে, পুনীত ভিডিওতে তেমনটাই অভিযোগ করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
পুনীত এবং তাঁর স্ত্রী মনিকার একটি ফাঁকা ঘরে উত্তপ্ত বাকবিতণ্ডার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি আজকাল ডট ইন। সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, মনিকাকে বলতে শোনা যায়, ‘এখানে বসো। দশ মিনিট সময় দিচ্ছি। কী করতে চাও, সাফ বলো।‘ নানা বিষয়ে পুনীতকে হুমকি দিচ্ছিলেন মনিকা, অভিযোগ তেমনটাই।
অতুল সুভাষ, তাঁর মৃত্যুর পর থেকে গত কয়েকদিনে জোর চর্চা ডিভোর্স, খরপোশ, হয়রানি, মানসিকচাপ এবং মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে। গত কয়েকদিনে বহু মানুষ অতুলের প্রসঙ্গ টেনে নিজেদের অসহায়তার কথা জানিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। গার্হস্থ্য হেনস্থার জেরে অতুলের মৃত্যুতে। মৃত্যুর আগে ২৪ পাতার একটি চিঠি লিখেছিলেন অতুল, তাতে তিনি স্পষ্টতই দায়ী করে গিয়েছেন তাঁর স্ত্রী, স্ত্রীর পরিবার এবং আদালতের বিচারককে। তিনি ৯০ মিনিটের একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন।
দিনকয়েক আগেই, অতুলের পরেই ফের প্রকাশ্যে আসে আরও এক আত্মহত্যার ঘটনা। সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, রাজস্থানের অজয় কুমার, পেশায় চিকিৎসক নিজের জীবন শেষ করেছেন। রাজস্থানের জয়পুরের অজয় কুমার একটি আয়ুর্বেদিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত্যুর পর তাঁর ঘর থেকে একটি চিঠি উদ্ধার হয়েছে, যাতে তিনি স্ত্রীকে দায়ী করে লিখেছেন। ওই চিঠিতে দাম্পত্য কহলের ইঙ্গিত স্পষ্ট বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
