আজকাল ওয়েবডেস্ক: স্কুলে যেতে চাইতনা কিশোরী৷ কী এমন ঘটল? জয়পুরে সম্প্রতি ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে৷ একটি বেসরকারি স্কুলে এক নয় বছরের কিশোরী স্কুলের চারতলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়। ঘটনার জেরে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ঘটনার দিন সে কোনওমতেই স্কুলে আসতে চাইছিল না। এর পরেই চতুর্থ শ্রেণির ওই ছাত্রীর বাবা-মা গুরুতর অভিযোগ করেছেন, স্কুলে তাঁদের মেয়েকে ব়্যাগিং করা হচ্ছিল।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, নীরজা মোদি স্কুলের ওই ছাত্রীর দুই সহপাঠী তদন্তকারীদের জানিয়েছে যে, ঘটনার দিন তাদের বন্ধু বলেছিল, তার একদম স্কুলে আসতে ইচ্ছে করছে না।
তবে কেন সে স্কুলে আসতে চাইছিল না, সেই কারণ সহপাঠীরা বলতে পারেনি। তদন্ত দলের এক সদস্য জানিয়েছেন, "আরও তথ্য জানতে তার বাবা-মা এবং আত্মীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।"
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, গত ১ নভেম্বর মেয়েটি রেলিং বেয়ে উঠে নিচে ঝাঁপ দিচ্ছে। আশেপাশে অন্যান্য পড়ুয়াদের স্বাভাবিকভাবেই হেঁটে যেতে দেখা যায়। এরপর ছাত্রীকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত ছাত্রীর বাবা-মা দাবি করেছেন, স্কুলে তাঁদের মেয়েকে নিয়মিত ব়্যাগিং করা হত। তাঁরা এও জানান, এই বিষয়ে তাঁরা গত সেপ্টেম্বরে এবং তার এক বছর আগেও স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন, কিন্তু কোনও কাজ হয়নি।
তদন্তের দায়িত্বে থাকা জেলা শিক্ষা আধিকারিক (প্রাথমিক) রামনিওয়ার শর্মা বলেছেন, ক্লাসে কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রী নাকি খারাপ ভাষা ব্যবহার করায় দু'জন ছাত্রী শিক্ষকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিল।
তিনি বলেন, "সিসিটিভি ফুটেজে শিক্ষককে ওই দু'জন ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলতে দেখা গিয়েছে। যে ছাত্রীটি আত্মহত্যা করেছে, সেও দু'বার শিক্ষকের কাছে গিয়েছিল। তার দিকে তাক করেই খারাপ ভাষা ব্যবহার করা হয়েছিল কি না এবং সে শিক্ষককে এই কথা জানিয়েছিল কি না, তা এখনও আমরা জানতে পারিনি।"
ছাত্রীর মৃত্যু নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেনি। অন্যদিকে তদন্তকারী দলের আজ রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা। এর আগে পুলিশ জানিয়েছিল যে, তারা স্কুলে পৌঁছে যেখানে ছাত্রী পড়েছিল, সেখানে কোনও রক্তের দাগ দেখতে পাননি।
শর্মা এর আগে অভিযোগ করেন, "ওরা (স্কুল কর্তৃপক্ষ) শিক্ষা দপ্তরকে একদমই গুরুত্ব দেয়নি। প্রিন্সিপাল ইন্দু ডেভের প্রতিনিধি আমাদের ফোন ধরেননি।" উল্লেখ্য মৃত ছাত্রী তার বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। তার মা ব্যাঙ্কে এবং বাবা একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন
