আজকাল ওয়েবডেস্ক: দেশের প্রধান নাগরিক বিমানবন্দরগুলিতে অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নাগরিক বিমান পরিবহণে ব্যবহৃত বিমানবন্দরে এ ধরনের প্রযুক্তি বসানো এটাই প্রথম। বিশ্বজুড়ে সামরিক উত্তেজনা বেড়েছে। অপারেশন সিঁদুর-সহ একাধিক সামরিক তৎপরতা প্রমাণ করেছে যে, ড্রোন নতুন যুগের যুদ্ধের জন্য অতিকার্যকর হাতিয়ার। এই প্রেক্ষিতেই নাগরিক বিমানবন্দরগুলিতে অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম বসানোর সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের একাধিক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে খবর। মন্ত্রক গোটা প্রকল্পের তত্ত্বাবধান করছে। পাশাপাশি ব্যুরো অব সিভিল অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি (বিসিএএস) একটি কমিটি গঠন করেছে, যেখানে ডিরেক্টোরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ), কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনী (সিআইএসএফ) এবং বিমান নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য সংস্থার প্রতিনিধিরাও রয়েছেন।

মন্ত্রকের একজন ঊর্ধ্বতন আধিকারিক বলেছেন, "সিস্টেমের স্পেসিফিকেশন নিয়ে কাজ চলছে। স্পেসিফিকেশন চূড়ান্ত হয়ে গেলে ক্রয় শুরু হবে।" আরেকজন আধিকারিক বলেছেন যে, প্রকল্পটি পর্যায়ক্রমে সম্পন্ন করা হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে দিল্লি, মুম্বই, শ্রীনগর, জম্মু ইত্যাদি সংবেদনশীল নাগরিক বিমানবন্দরগুলিতে অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম বসানো হবে। ধীরে ধীরে অন্য়ান্য বিমানবন্দরগুলিতেও এই সুবিধা সম্প্রসারিত করা হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক আধিকারিকের কথায়, "মডেল ও সময়সীমা স্পেসিফিকেশন ঠিক হওয়ার পর নির্ধারিত হবে। বিদেশের কয়েকটি বিমানবন্দরে সফলভাবে ব্যবহৃত অ্যান্টি-ড্রোন মডেলও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।" 

২০২৫ সালের এপ্রিলে পহেলগাঁতে পর্যটকদের উপর সন্ত্রাসবাদী হামলার পর, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা দেখিয়েছিল। আন্তর্জাতিক সীমানা অতিক্রম না করে ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একাধিক জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা চালায়। সেই সময়েই একাধিক পাকিস্তানি ড্রোনও ভারতীয় ভূখণ্ডের উপর ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছিল। যার মধ্যে অনেকগুলি ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গুলি করে ধ্বংস করে।

আধিকারিকরা বলছেন যে, পহেলগাঁওয়ের পরবর্তী ঘটনাসমুহই নাগরিক বিমানবন্দরগুলিতে অ্যান্টি-ড্রোন সুরক্ষা ব্যবস্থা বসানোর অন্যতম প্রধান কারণ, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে অবস্থিত বিমানবন্দরগুলিতে।