বাঙালি ইনফ্লুয়েন্সার শফিক এসকের একটি ভিডিও নিয়ে আলোচনা চলছে অন্তর্জালে। প্রেমিকার সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর তুমুল তর্কবিতর্কের পর মুখ খুলেছিলেন এই ইনফ্লুয়েন্সার। এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তাঁর ঘনিষ্ঠ এক বন্ধু নিজেই ভিডিওটি ছড়িয়েছেন।
ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিওতে দেখা যায়, শফিক তাঁর বান্ধবীর সঙ্গে ব্যক্তিগত সময় কাটাচ্ছেন। ভিডিওটি মুহূর্তের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।

 


শফিক এবং ও তাঁর বান্ধবীকে ঘিরে তৈরি হওয়া বিতর্কিত এমএমএস কেলেঙ্কারি নিয়ে অবশেষে মুখ খুলেছেন তাঁর বান্ধবী। সম্প্রতি একটি ভিডিওতে, শফিকের বান্ধবী তাঁর চরম কষ্টের কথা এবং এই ঘটনার পর তাঁর জীবনে নেমে আসা ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন, যেখানে তিনি আত্মহত্যার ভাবনা পর্যন্ত ভেবেছিলেন বলে উল্লেখ করেছেন।

 

 

ভিডিওতে শফিকের বান্ধবী জানান যে, ব্যক্তিগত মুহূর্তের ভিডিও ফাঁস হওয়ার পর সমাজের কাছ থেকে যে নিন্দা ও সমালোচনার মুখে তাঁকে পড়তে হয়েছে, তা সহ্য করা তাঁর জন্য অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তিনি বলেন, "ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর আমি মানসিকভাবে একেবারে ভেঙে পড়েছিলাম। আমার মনে হচ্ছিল, যেন আমার সম্মান সম্পূর্ণ কেড়ে নেওয়া হয়েছে। সেই সময় আমার বারবার আত্মহত্যার চিন্তা আসত। আমি আর বাঁচতে চাইছিলাম না।"

 


তিনি আরও স্পষ্ট করেন যে, ভিডিওটি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত ছিল এবং তা কোনওভাবেই জনসমক্ষে আনার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়নি। কীভাবে এই ভিডিও ফাঁস হল, তা তিনি জানেন না এবং এর জন্য তিনি কাউকে দায়ীও করেননি। তবে, এর ফলে তাঁর জীবন যে ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে, তা তিনি সকলের সামনে তুলে ধরেছেন।

 


বিতর্ক সত্ত্বেও, শফিকের বান্ধবী তাঁর প্রেমিকের প্রতি তাঁর পূর্ণ সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন যে, এই কঠিন সময়ে শফিক তাঁর পাশে ছিলেন এবং দু'জনের সম্পর্ক এখনও অটুট। তিনি দর্শকদের কাছে অনুরোধ করেছেন যেন তাঁরা এই ঘটনাটিকে সম্মান ও সহানুভূতির চোখে দেখেন এবং তাঁদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আর কোনও আলোচনা না করেন।

 


তিনি এও জানান যে, তিনি এখন চেষ্টা করছেন এই মানসিক আঘাত থেকে বেরিয়ে আসতে এবং ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে। কিন্তু, এই ঘটনা যে তাঁর মনে এক গভীর ক্ষত সৃষ্টি করেছে, তা তাঁর কথাতে স্পষ্ট।

 


শফিক এসকে এবং তাঁর বান্ধবীর এই ঘটনা আরও একবার সোশ্যাল মিডিয়ার অন্ধকার দিক এবং ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনের বিপদ তুলে ধরল। এই কেলেঙ্কারির পর শফিকের বান্ধবীর সাহস করে মুখ খোলা এবং নিজের কষ্টের কথা প্রকাশ করা, সাইবার বুলিং এবং ব্যক্তিগত মুহূর্তের অপব্যবহারের শিকার হওয়া মানুষদের জন্য একটি বার্তা বহন করে। তিনি সমাজের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন, যেন তাঁরা সহমর্মী হন এবং কোনও ব্যক্তির চরম ব্যক্তিগত মুহূর্তের ভিডিও ভাইরাল করা থেকে বিরত থাকেন।