আজকাল ওয়েবডেস্ক: কর্নাটকের মাইসুরুতে বাঘের আক্রমণে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এই মর্মান্তিক ঘটনার পরই কড়া পদক্ষেপ করেন রাজ্যের বনমন্ত্রী ঈশ্বর খান্দ্রে। তিনি সঙ্গে সঙ্গে নাগরহোল এবং বান্দিপুর ব্যাঘ্র প্রকল্পে পর্যটকদের জন্য সাফারি পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া, যেখানে মানুষ ও বন্যপ্রাণীর সংঘাতের আশঙ্কা বেশি, সেখানে ট্রেকিংও বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে যে বাঘটি হামলা চালিয়েছে, তাকে ধরার জন্য বর্তমানে অভিযান চলছে। তাতে বন দপ্তরের সব কর্মীকে নামানোরও নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী। বন দপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবার সারগুর তালুকের হালে হেগগুডিলু গ্রামের বছর ৩৫-এর চৌদাইয়া নায়ক বাঘের আক্রমণে মারা গিয়েছেন।
সবচেয়ে উদ্বেগজনক খবর হলো, এই অঞ্চলে গত এক মাসে বাঘের হানায় এই নিয়ে তৃতীয় মৃত্যু হলো। বনমন্ত্রী খান্দ্রে এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে বন দপ্তরের প্রধানদের কাছে লিখিত নির্দেশ পাঠিয়েছেন। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত দুই ব্যাঘ্র প্রকল্পেই সাফারি পরিষেবা বন্ধ থাকবে। পর্যটকদের নিয়ে যাওয়ার কাজে যুক্ত কর্মীদের বাঘ ধরার অভিযানে সাহায্য করতে বলা হয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেছেন, গত এক মাসে বান্দিপুর ও নাগরহোল বনাঞ্চল সংলগ্ন মাইসুরু ও চামারাজানগর জেলায় বাঘের আক্রমণে তিনজনের মৃত্যু হওয়াটা "খুবই কষ্টের"।
মন্ত্রীর দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, এর আগেও বাঘের হামলার পর ২৭ অক্টোবর বান্দিপুরে ও ২ নভেম্বর চামারাজানগরে বৈঠক হয়েছিল। সেখানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং কৃষকদের সঙ্গে কথা বলার পর সতর্ক করে বলা হয়েছিল, প্রয়োজনে সাফারি বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। কিন্তু এরপরও আরও একটি দুঃখজনক ঘটনা ঘটল।
তাই আর দেরি না করে মন্ত্রী সাফারি এবং ট্রেকিং পুরোপুরি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি, সাফারি ডিউটিতে থাকা সব অফিসার, চালক এবং কর্মীদের বাঘ ধরার কাজে লাগানোর কথা বলা হয়েছে। এমনকী, অতিরিক্ত প্রধান মুখ্য বন সংরক্ষক এবং প্রোজেক্ট টাইগারের ডিরেক্টরকেও ঘটনাস্থলে গিয়ে বাঘটিকে ধরার জন্য তদারকি করতে বলা হয়েছে।
