আজকাল ওয়েবডেস্ক: পড়াশোনার অত্যধিক চাপ। পরীক্ষার মুখেই চরম পদক্ষেপ এক ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রীর। হস্টেলের ঘরে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। তাঁর ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোট। 

 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ছত্তিশগড়ের রায়গড় জেলার এক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রী ছিলেন তরুণী। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার রাতে হস্টেলের ঘরে ওই ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রী আত্মঘাতী হন। মৃতার নাম, প্রিন্সি কুমারী। তিনি আদতে ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুরের বাসিন্দা ছিলেন। 

 

পুলিশ আরও জানিয়েছে, পুঞ্জীপাথরা এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে থাকতেন তরুণী। তিনি বি.টেক কম্পিউটার সায়েন্সের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। শনিবার রাতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি। খানিকক্ষণ পরেই হস্টেলের কর্মীদের সন্দেহ হতেই পুলিশে খবর দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে ছাত্রীর দেহ উদ্ধার করে তারা। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। 

 

ছাত্রীর ঘর থেকে সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে পুলিশ। জানা গেছে, প্রথম সেমিস্টারে পাঁচটি বিষয়ে পাশ করতে পারেননি তিনি। সামনেই দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষা ছিল। একসঙ্গে একাধিক বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে গিয়েই মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েন। দ্বিতীয় সেমিস্টারের জন্য এক লক্ষ টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা দেওয়ার কথা ছিল। 

পড়াশোনার কারণে অত্যধিক চাপ সহ্য করতে না পেরে মা-বাবার কাছে ক্ষমা চেয়ে চিঠি লেখেন তরুণী। পরিবারের আর্থিক অবস্থা নিয়েও দুশ্চিন্তায় ছিলেন তিনি। সুইসাইড নোটে তরুণী লেখেন, 'আমাকে ক্ষমা করো।' 

 

গত বছর অক্টোবরে এমন আরেকটি ঘটনা ঘটেছিল। পড়াশোনার অত্যধিক চাপে জেরবার। প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ। দুইয়ের জেরে চরম পদক্ষেপ নেন ১৭ বছরের এক ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষার্থী। বাবা, মাকে চিঠি লিখে আত্মঘাতী হয়েছিলেন ছাত্রী। নিজের আবাসনের ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি। 

 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছিল নয়া দিল্লির জামিয়া নগর এলাকায়। ওই এলাকার শাহীন বাগের ওখলা মার্কেটের মাঝেই আত্মঘাতী হন ১৭ বছরের কিশোরী। শনিবার পুলিশ সূত্রে খবর, সাততলা আবাসনের ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হন কিশোরী। জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। 

 

পুলিশ আরও জানিয়েছে, সদ্য দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার পরেই জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পরীক্ষার্থী। কিন্তু পড়াশোনার অত্যধিক চাপ সামলাতে পারছিলেন না। অতীতে একাধিকবার মা'কে জানিয়েছিলেন, পরীক্ষায় পাশ না করলে জীবন শেষ পর্যন্ত করতে পারেন। অবশেষে চরম পদক্ষেপ নেন তিনি। 

 

কিশোরীর ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া যায়। যেখানে কিশোরী জানিয়েছিলেন, জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় তিনি পাশ করতে পারেননি। চাপ সামলাতে না পেরে, পরিবারের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় আত্মঘাতী হন তিনি। চিঠিতে লেখা ছিল, 'আমি পরীক্ষায় পাশ করিনি। তাই ক্ষমা করো।' এদিকে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজে কিশোরীর আত্মহত্যার মুহূর্তটি ধরা পড়ে। যা সোশ্যাল মিডিয়াতেও ভাইরাল হয়েছে। ঘটনাটি ঘিরে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।