আজকাল ওয়েবডেস্ক: এমনিতেই শীতের দাপট কম ছিল চলতি বছরে। শীতের শেষদিক থেকেই ধীরে ধীরে গরম পড়তে শুরু করেছে। সেদিক থেকে দেখতে হলে এবার গরমের দাপট অনেকটা বেশি থাকবে।
আবহবিদরা মনে করছেন, চলতি বছরে এল নিনো যেভাবে নিজেকে তৈরি করবে সেখান থেকে দেখতে হলে অন্যবারের তুলনায় গরম বেশি হবে। তবে যদি সেটিই সঠিক হয়ে থাকে তাহলে গরমের পর যে বৃষ্টি হবে তার পরিমানও বেশি হবে।
কয়েকদিন আগেই যে তথ্য সামনে এসেছে সেখান থেকে দেখা গিয়েছে এবারে প্রশান্ত মহাসাগরের চরিত্র খানিকটা হলেও বদলে গিয়েছে। তাই এবার প্রশান্ত মহাসাগর থেকে গরম হাওয়া সর্বত্র বইতে শুরু করেছে। লা নিনার প্রভাব কম থাকার জেরে অতি সহজেই গরম বাতাস বয়ে গিয়েছে সর্বত্র। ফলে এবার অন্যবারের তুলনায় গরম অনেকটা বেশি থাকবে।
তবে এখানেই অন্য একটি তথ্য সামনে নিয়ে এসেছেন আবহবিদরা। তারা মনে করছেন যেভাবে গরম অনেক আগে থেকে শুরু হয়েছে সেখান থেকে এবার বৃষ্টি হবে অনেক আগে থেকেই। যেখানে জুন মাস থেকে ভারতের বিভিন্ন অংশে বৃষ্টি নামতে শুরু করে সেখান থেকে অনেকটা আগেই শুরু হয়ে যাবে বৃষ্টি। পাশাপাশি যেমন বৈশাখ মাসে মানুষ কালবৈশাখী দেখতে পছন্দ করে সেটাও হয়তো চৈত্র মাসেই দেখা যাবে।
আবহবিদরা মনে করছেন যেখানে প্রতিটি সময় আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে একদিক থেকে যেমন মনে হয় সেটি খারাপ দিক দেখাল ঠিক তেমনভাবে তার কয়েকটি ভাল দিকও সামনে থাকে। যদি গরম বেশি হয় বা গরম এগিয়ে আসে। তাহলে সেখান থেকে দেখতে হলে বৃষ্টিও বেশি হবে।
দেশের বিভিন্ন রাজ্যে কৃষকরা অনেক সময় বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে থাকেন। সেখানে চলতি বছরে বৃষ্টির সময় হয়তো অনেকটা এগিয়ে আসতে পারে। যদি সেটাই হয়ে থাকে তাহলে সেদিক থেকে দেখতে হলে কৃষকদের মুখে বাড়তি হাসি ফুটবে। ফলে গরমের পর বৃষ্টিতে স্বস্তি পাবে সকলেই।
