আজকাল ওয়েবডেস্ক: মদ্যপানকে কেন্দ্র করে বচসা! মদ খেয়ে রাতবিরেতে স্ত্রীর বাড়ি ফেরাকে কেন্দ্র করেই তুমুল বচসা দম্পতির। শেষমেশ স্ত্রীকে তুলে আছাড় মারলেন স্বামী। কয়েক ঘণ্টায় মর্মান্তিক পরিণতি তরুণীর। স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের পালামু জেলায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২২ বছরের তরুণীকে খুনের অভিযোগ উঠেছে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। দু'জনেই মত্ত অবস্থায় ছিলেন। সেই সময়েই অশান্তি শুরু হয়। রাগের মাথায় তরুণীকে উঁচুতে তুলে, নীচে আছাড় মেরে ফেলেন। তাতেই গুরুতর চোট পান তরুণী।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে রামগড় থানার অন্তর্গত দাতাম বড় ঝরিয়া এলাকায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অভিযুক্ত ২৫ বছরের তরুণ উপেন্দ্র পারিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মৃত তরুণীর নাম, শিল্পী দেবী। তাঁর দেহ উদ্ধার করে মেদিনিরাই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, বাড়িতেই মদ্যপান করছিলেন উপেন্দ্র। মত্ত অবস্থায় ছিলেন তিনি। অন্যদিকে সেদিন মত্ত অবস্থায় বাড়ি ফেরেন শিল্পী। কেন মদ্যপান করে মাঝ রাতে বাড়ি ফিরেছেন, তা ঘিরেই স্ত্রীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি শুরু হয় স্বামীর। কলহ চরমে পৌঁছতেই শিল্পীকে মারধর করতে শুরু করেন। এরপর স্ত্রীকে উপরে তুলে নীচে আছাড় মারেন। কয়েক ঘণ্টা পরেই মৃত্যু হয় তরুণীর। তিন বছর আগে শিল্পী ও উপেন্দ্র বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁদের এক সন্তান আছে।
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে আরও একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল বেঙ্গালুরুতে। মেয়ের চোখের সামনেই স্ত্রীকে পরপর ছুরির কোপ। রাগের মাথায় স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করলেন স্বামী। ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে ভরা রাস্তাতেই। এক বাস স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে স্ত্রীকে খুন করেন ঘাতক স্বামী।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুতে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২৮ বছর বয়সি তরুণীকে কুপিয়ে খুন করেন তাঁর স্বামী। বাস স্ট্যান্ডে ১২ বছরের মেয়ের সামনেই তরুণীকে খুন করেন তাঁর স্বামী। মৃত তরুণীর নাম, রেখা। তিনি দুই সন্তানের মা। অন্যদিকে অভিযুক্ত লোকেশের কোনও সন্তান নেই। রেখা ও লোকেশ তিন মাস আগেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এটি দুজনেরই দ্বিতীয় বিবাহ।
বেঙ্গালুরুতে স্থানান্তরিত হওয়ার লোকেশকে একটি কল সেন্টারের গাড়ির চালকের কাজ জোগাড় করে দেন রেখা। তরুণী সেই কল সেন্টারে কাজ করেন। কিন্তু কাজে যোগ দেওয়ার কিছুদিন পরেই রেখার চরিত্র নিয়ে সন্দেহ ঘনায় লোকেশের। তাঁর সন্দেহ ছিল, রেখা অন্য কোনও পুরুষের প্রতি আসক্ত।
গতকাল সকালে বাস স্ট্যান্ডে মেয়ের সঙ্গে দাঁড়িয়েছিলেন রেখা। বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। সেই সময়েই ধারালো ছুরি নিয়ে হামলা চালান লোকেশ। রেখাকে পরপর ছুরির কোপ মারেন। রেখার মৃত্যু নিশ্চিত হতেই ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যান অভিযুক্ত যুবক। স্থানীয়রা তড়িঘড়ি করে রেখাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ এই ঘটনার পর অভিযুক্ত লোকেশের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছে। তাঁর খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে।
