আজকাল ওয়েবডেস্ক: মহারাষ্ট্রে সম্প্রতি এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। সাতারায় এই মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হলো স্থানীয় পথচারী ও সাধারণ মানুষ। সূত্রে জানা গিয়েছে, এক মহিলা ট্রাফিক পুলিশ অফিসারকে তাঁর গন্তব্যস্থল থেকে প্রায় ১২০ মিটার পর্যন্ত একটি অটোরিকশা টেনে নিয়ে যায়। অভিযুক্ত চালক মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তিনি স্থানীয় ট্রাফিক চেক থেকে পালাতে গিয়ে এই ঘটনা ঘটান। ঘটনা জানাজানি হতেই শোরগোল। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটে যখন পুলিশ অফিসার ভাগ্যশ্রী যাধব একটি ব্যস্ততম মোড়ে অটোরিকশাটি থামানোর জন্য অটোচালককে দাঁড়াতে বলেন। কিন্তু অভিযুক্ত চালক দেবরাজ কালে তাঁর কথা কানে না নিয়েই দ্রুত এগোতে থাকেন। মহিলা যাত্রীর ইশারায় কোনওরকম কর্ণপাত না করেই গাড়ির গতি বাড়িয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। এহেন পরিস্থিতিতে ভাগ্যশ্রী যাধব অটোরিকশাকে থামাতে গেলে গাড়ির চালকের সঙ্গে চরম বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। সূত্রে জানা গিয়েছে, চলন্ত অবস্থায় মহিলা যাত্রীকে প্রায় ১২০ মিটার পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাওয়া হয়।

এই পুরো ঘটনাটি সড়কের পাশের একটি দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ে । ফুটেজে দেখা গিয়েছে, অফিসার যাধব  গাড়ির মধ্যে আটকে থাকা অবস্থায় রয়েছেন। তিনি চালকের কবল থেকে নিজেকে মুক্ত করার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করছেন।

ঘটনার সময় আশপাশে থাকা কিছু স্থানীয় পথচারী বিষয়টি লক্ষ্য করে সাহসিকতার সঙ্গে এগিয়ে আসেন। তাঁরা অটোরিকশার পথ রোধ করে গাড়িটিকে থামান। চালককে হাতেনাতে ধরে গাড়ির ভেতর থেকে মহিলা যাত্রীকে নামিয়ে দেন এবং শেষমেশ অফিসারকে উদ্ধার করেন।

ঘটনার খবর তৎক্ষণাৎ স্থানীয় পুলিশকে জানান হয়। পরে অভিযুক্ত দেবরাজ কালে-কে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বর্তমানে অভিযুক্ত চালক পুলিশি হেফাজতে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হছে। 

সসংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে মহিলা অফিসার ভাগ্যশ্রী যাধব এই ঘটনায় অত্যন্ত আহত হয়েছেন। তিনি বর্তমানে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে পুলিশ মামলাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে৷

আরও পড়ুনঃ পারিবারিক বাকবিতণ্ডা! রাতের অন্ধকারে মায়ের দেহ গায়েব করলেন যুবক, হিমাচলে হাড়হিম কাণ্ড জানলে চমকে উঠবেন

প্রসঙ্গত, চলতি বছরেই মুম্বই শহরে আরেক আশ্চর্যজনক ঘটনা ঘটেছে৷ খবর অনুযায়ী, ১৬ জুলাই, মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটে। মুম্বইয়ের কাছে নালাসোপাড়া পূর্বে যানবাহন তল্লাশির সময় দুই ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তার উপর হামলার অভিযোগ এসছে। হামলাকারী হলেন এক বাবা ও  তার ছেলে। খবর পেয়েই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, মুম্বই শহরে বিজয় নগরের সিতারা বেকারির কাছে ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার দিন সিতারা বেকারি চত্বরে ট্রাফিক কনস্টেবল হনুমন্ত সাঙ্গলে এবং শেষনারায়ণ আথ্রে যানবাহন তল্লাশি করছিলেন। নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য তাঁরা যানবাহন তল্লাশি করছিলেন। 
তুলিঞ্জ পুলিশের মতে, সম্প্রতি হেলমেট না পরা, নম্বর প্লেটে সমস্যা থাকা এবং বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকার কারণে একাধিক মানুষকে ধরা হচ্ছে৷ একই ঘটনায় দুই অভিযুক্ত পার্থ নারকার এবং তার বন্ধু ওমকার পাঞ্চালকে অফিসাররা তল্লাশির জন্য থামিয়েছিলেন।

'অনেকবার আইন লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। তাদের হেলমেট ছিল না, নম্বর প্লেটটি সঠিক ছিল না। এমনকি তাদের স্থায়ী লাইসেন্সও ছিল না,' বলেন সিনিয়র ইন্সপেক্টর বিজয় যাদব। খবর অনুযায়ী, এরপর অভিযুক্ত পার্থ তার বাবা মঙ্গেশ নারকরকে ফোন করেন। এরপরই পরিস্থিতি বেসামাল হয়ে ওঠে৷ অভিযুক্তের বাবা মঙ্গেশ নারকর শীঘ্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছন। হঠাৎই তাঁদের মধ্যে বচসা শুরু হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মুহুর্তের মধ্যে এই তর্কটি মারপিটে পরিণত হয়। তারা তিনজনই অফিসারদের উপর হামলা শুরু করে। অফিসাররা বাধা দিতে চেষ্টা করলেও তারা গায়ে হাতে আঘাত করতে থাকে।