তীর্থঙ্কর দাস: কলকাতায় শুরু হল দু' দিনব্যাপী প্রতিরক্ষা অস্ত্র ও সরঞ্জাম প্রদর্শনী।বিশ্ববাংলা মেলা প্রাঙ্গণে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল রামচান্দের তিওয়ারি। এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে নিজেদের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি প্রদর্শন করবে ভারতের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম নির্মাণকারী সংস্থা থেকে শুরু করে স্টার্টআপ সংস্থাগুলি । প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করে অস্ত্র প্রস্তুতকারী ১৪০টি সংস্থা। যার মধ্যে ৬টি সংস্থাই পশ্চিমবঙ্গের। রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেন হোক বা ইজরায়েলের সঙ্গে ইরান। সাম্প্রতিককালে যুদ্ধ পরিস্থিতি রীতিমতো খবরের শিরোনামে। প্রতিরক্ষাক্ষেত্রে রীতিমতো চর্চায় যুদ্ধে ব্যবহৃত হওয়া ড্রোন প্রতিরোধী সামরিক সরঞ্জাম।
ভারতের জন্যও সেই একই ড্রোন প্রতিরোধী পরিকাঠামো অত্যন্ত জরুরি বলে দাবি করলেন ভারতীয় সেনার পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল রামচান্দের তিওয়ারি। পূর্বাঞ্চলীয় সেনাপ্রধান বললেন, 'ট্র্যাডিশনাল বা কনভেনশনাল ওয়্যার বা যুদ্ধ এখন নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ড্রোনের ব্যবহার অনেকটাই বেড়েছে যেকোনও যুদ্ধ বা সামরিক কার্যকলাপে। বর্তমান সময়ে যুদ্ধক্ষেত্রে রীতিমতো ক্ষমতা প্রদর্শন করে চলেছে অত্যাধুনিক ড্রোন। সেক্ষেত্রে ড্রোন নির্মাণে অনেক বেশি জোর দেওয়া প্রয়োজন। আগামীদিন যেকোনও যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি বা উগ্রপন্থী দমন কার্যকলাপে ড্রোনই হবে প্রধান হাতিয়ার।
চিনের নাম না করে পূর্বাঞ্চলীয় সেনার কমান্ডার বলেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্র এই ড্রোন প্রতিরোধী সামরিক পরিকাঠামো তৈরিতে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। এবার ভারতকেও ড্রোন প্রতিরোধী পরিকাঠামো তৈরি নিয়ে এবার ভাবতে হবে। তাঁর আরও অভিযোগ, অর্ডার দেওয়া সরঞ্জাম সময়মাফিক হাতে পায় না সেনা। অস্ত্র নির্মনাকারী সংস্থার এই বিষয়টিতে অবিলম্বে নজর দেওয়া উচিত বলেও জানিয়েছেন পূর্বাঞ্চলীয় সেনাপ্রধান। একইসঙ্গে দেশকে সুরক্ষা দিতে সামরিক পরিকাঠামো উন্নয়ন ও আরও বেশি পরিমাণ অস্ত্র উৎপাদনে জোর দেওয়ার কথাও বলেছেন তিনি।
এদিন অস্ত্র ভাণ্ডার নিয়েও একাধিক সমস্যায় আলোকপাত করেছেন পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল। তাঁর কথায় , স্থান বিশেষে অস্ত্র ভাণ্ডারে পর্যাপ্ত আদ্রতা বজায় রাখাটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশকে আত্মনির্ভর করতে রাজ্য থেকে এই ধরনের শিল্পের সঙ্গে যুক্ত সংস্থা এগিয়ে আসুক। আরও উদ্যোগী হোক। অনুষ্ঠানের সূচনাকালে রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের কাছে আর্জি জানিয়েছেন পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল।
