আজকাল ওয়েবডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের বেশ কয়েকটি জেলার মানুষ ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। এই জেলাগুলির মধ্যে একটি তার জনগণের অসাধারণ বীরত্বের কারণে ‘শহিদদের শহর’ নামে পরিচিত। এই জেলের মানুষেরা ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত লড়াই করেছিলেন। উত্তরপ্রদেশের এই জেলাটি বহু স্বাধীনতা সংগ্রামী ও বিপ্লবীদের জন্য বিখ্যাত। 

উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুর জেলা ‘শহিদদের শহর’ নামে পরিচিত। বরেইলি ও লখনউয়ের সীমান্তবর্তী এই জেলাটি ১৮৫৭ সালের স্বাধীনতা আন্দোলনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে ভারতের কাকোরি ঘটনার অন্যতম প্রধান পরিকল্পনাকারী ছিলেন শাহজাহানপুরের বিপ্লবীরা। এই ঘটনার পর অনেক বিপ্লবীকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল, যা পুরো দেশকে হতবাক করে দিয়েছিল।

১৮৫৭ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং শাহজাহানপুরের ভূমিকা

shahjahanpur.nic.in ওয়েবসাইট অনুসারে, দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে শাহজাহানপুরের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। শহরটি দু’টি বিশিষ্ট মাজারও রয়েছে। প্রথমটি হলো ১৮৫৭ সালের একজন বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী মৌলবি আহমেদ উল্লাহ শাহের এবং দ্বিতীয়টি হল কাকোরি ঘটনার সঙ্গে জড়িত শহিদ আশফাক উল্লাহ খানের মাজার। মৌলবি আহমেদ উল্লাহ শাহ ফৈজাবাদে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে তাঁর সংগ্রাম শুরু করেন। পরে তিনি শাহজাহানপুরে চলে আসেন এবং সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।

বিপ্লবীরা ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল

১৮৫৭ সালের সংগ্রামের প্রায় ৭০ বছর পর শাহজাহানপুর দেশকে বেশ কয়েকজন বিপ্লবী উপহার দেয়। এদের মধ্যে রামপ্রসাদ বিসমিল, আশফাকউল্লা খান এবং রোশন সিং-এর মতো নাম উল্লেখযোগ্য। ১৯২৫ সালের ৯ আগস্ট কাকোরি স্টেশনের কাছে সরকারি কোষাগার লুঠের ঘটনার পর, ১৯২৫ সালের ২৬ ডিসেম্বর বেশ কয়েকজন বিপ্লবীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এদের মধ্যে রামপ্রসাদ বিসমিল, আশফাকউল্লা খান, রোশন সিং, প্রেমকিষাণ খান্না, বনওয়ারী লাল, হরগোবিন্দ, ইন্দ্রভূষণ, জগদীশ এবং বেনারসী শাহজাহানপুরের বাসিন্দা ছিলেন। রামপ্রসাদ বিসমিল, আশফাক এবং রোশন সিংকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। এই আত্মত্যাগের কারণে শাহজাহানপুর ‘শহিদদের শহর’ নামে পরিচিত।