আজকাল ওয়েবডেস্ক : বিমানবন্দরে খাবার খাওয়া মানেই পকেটে চাপ। বিমানবন্দরের দোকানগুলিতে খাবারের দাম প্রায়ই আকাশছোঁয়া হয়, যার ফলে অনেক যাত্রীই খাবার এড়িয়ে যান। তবে শীঘ্রই এই পরিস্থিতি বদলাতে পারে। সূত্র জানিয়েছে, কর্তৃপক্ষ এমন কিছু ইকোনমি জোন তৈরি করার পরিকল্পনা করছে, যেখানে কম দামে খাবার ও পানীয় পাওয়া যাবে।

 

এই ইকোনমি জোনগুলো বিমানবন্দরের অন্যান্য রেস্তোরাঁর মতো হবে না। এখানে বসার ব্যবস্থা থাকবে না। যাত্রীদের কাউন্টার থেকে খাবার সংগ্রহ করে দ্রুত খাবারের জন্য নির্ধারিত টেবিলে খেতে হবে। পাশাপাশি, এখানে টেকঅ্যাওয়ে সুবিধাও থাকবে।

 

বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী একাধিক বৈঠকের পর এই ইকোনমি জোনের কাজ শুরু করার বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছেছেন। এখন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ, বিমানবন্দরের খাবার দোকান এবং অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করে এই জোনগুলো পরিচালনার পরিকল্পনা করা হবে বলে জানা গেছে। প্রথমে এই ধরনের জোনগুলো নবনির্মিত বিমানবন্দরে স্থাপন করা হবে।

 

অনেক যাত্রীই বিমানবন্দরের খাবারের বেশি দামের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদাম্বরমও তাদের একজন। তিনি গত সেপ্টেম্বরে একটি অনলাইন পোস্টে উল্লেখ করেছিলেন, কলকাতা বিমানবন্দরের একটি পরিচিত ক্যাফেতে মাত্র একটি "টি ব্যাগ আর গরম জলের " চায়ের দাম ৩৪০ টাকা। তার এই মন্তব্যের পর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ দাম সংক্রান্ত এই বৈষম্য নিয়ে বড় চাপে পড়ে গিয়েছিলেন।