আজকাল ওয়েবডেস্ক: লখনউয়ের এক মধ্যবিত্ত পরিবারে নেমে এল অন্ধকার। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিল পরিবারের পোষ্য কুকুর। পোষ্যের এই কষ্ট সইতে না পেরে বিষ খেয়ে নিজেকে শেষ করলেন দুই বোন। পুলিশ জানিয়েছে, দীর্ঘদিনের মানসিক অবসাদ এবং আদরের পোষ্যের ক্রমে শারীরিক অবনতি সহ্য করতে না পেরেই এই চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। আর এই ঘটনা ঘিরে সম্প্রতি ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়৷
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম রাধা সিং ও জিয়া সিং। পুলিশ সূত্রে খবর, লখনউয়ের দৌড়া এলাকার বাসিন্দা ওই দুই তরুণীই উচ্চশিক্ষিত ছিলেন। তবে ২০১৪ সাল থেকে তাঁরা দুজনেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। এর জেরে চিকিৎসাধীন ছিলেন দুজনাই। বাড়ির লোকেরা জানিয়েছেন, তাঁদের পোষ্য কুকুরটি বেশ কিছুদিন ধরে অত্যন্ত অসুস্থ ছিল। অনেক চিকিৎসা সত্ত্বেও তার অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় দুই বোন মানসিকভাবে আরও ভেঙে পড়েছিলেন।
বুধবার সকালে মা গোলাপ দেবী তাঁদের বাজারে পাঠিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফিরে দুই বোন মাকে জানান যে, তাঁরা ফিনাইল খেয়ে নিয়েছেন। খবর পেয়েই তাঁদের ভাই দ্রুত দুই বোনকে হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু ট্রমা সেন্টারে রাধাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় জিয়ারও। পুলিশ দেহ দুটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে এই মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না।
অন্যদিকে, মহারাষ্ট্রের নান্দেড় জেলায় এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। একই পরিবারের চার সদস্যের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দুই ভাই ও তাঁদের মা-বাবা চারজনই নিজেকে শেষ করেছেন। কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ জানিয়েছে, মুগাট রেল স্টেশনের কাছে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে দুই ভাই আত্মঘাতী হয়েছেন। তাঁদের নাম বজরং রমেশ লাখে (২২) এবং উমেশ রমেশ লাখে (২৫)। অন্যদিকে, জওলা মুরার গ্রামে তাঁদের নিজেদের বাড়ি থেকে বাবা ও মায়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃত দম্পতির নাম রমেশ হোনাজি লাখে (৫১) ও রাধাবাই রমেশ লাখে (৪৪)। মুদখেদ তহশিলের এই ঘটনায় গোটা গ্রাম স্তম্ভিত।
ঠিক কী কারণে এই ঘটনা ঘটল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বাবা-মা আত্মহত্যা করেছেন নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রাথমিকভবে মনে করা হচ্ছে, আর্থিক অনটনের কারণেই এই চরম সিদ্ধান্ত। তবে পুলিশ এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলছে না।
লাখে পরিবারে এই চারজনই ছিলেন। এই ঘটনায় পুরো পরিবারটিই শেষ হয়ে গেল। উমেশ লাখে এলাকায় সমাজকর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। শুধু তাই নয়, তিনি এমএনএস-এর প্রাক্তন স্থানীয় সহ-সভাপতি ছিলেন। ফলে তাঁর মৃত্যুতে স্থানীয় বাসিন্দারা আরও বেশি অবাক হয়েছেন।
খবর পেয়েই পুলিশ এবং ফরেনসিক দল ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে হাসপাতালে। এটি আত্মহত্যা কি না, তা নিশ্চিত হতে পুলিশ সব দিক খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছে।
