আজকাল ওয়েবডেস্ক: ডাল, ভাত, রুটি, সবজি এবং আচার-সহ একটি তৃপ্তিদায়ক খাবারের জন্য ৫০০ থেকে ২,০০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। যদিও তা রেস্তোরাঁর ধরন ও এলাকার ওপর নির্ভর করে। এখন কল্পনা করুন, যে মানুষগুলি প্রতিদিন দুবেলা পেট ভরে খেতে হিমশিম খান, তাঁরা যদি এই পুষ্টিকর খাবারটি মাত্র দশ ভাগের এক ভাগ দামে পান। দিল্লি সরকার বৃহস্পতিবার ‘অটল ক্যান্টিন’ প্রকল্প চালু করেছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে শহরের ১০০টি স্থানে মাত্র পাঁচ টাকায় এক প্লেট পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হবে। পশ্চিমবঙ্গেও গত চার বছর ধরে চলে আসছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সাধের ‘মা ক্যান্টিন’। এখানে মাত্র পাঁচ টাকায় খাবার খাওয়ানো হয়।

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর ১০১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা দরিদ্র, শ্রমিক এবং নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোকে সম্মানের সঙ্গে খাবার সরবরাহের লক্ষ্যে বুধবার ১০০টি ‘অটল ক্যান্টিন’-এর উদ্বোধন করেছেন। তিনি বলেন, “অটল ক্যান্টিন দিল্লির প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হবে, আর কাউকে খালি পেটে ঘুমাতে হবে না।”

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী এদিন দিল্লির আর কে পুরম, জাংপুরা, শালিমার বাগ, গ্রেটার কৈলাশ, রাজৌরি গার্ডেন, নারেলা, বাওয়ানা-সহ বিভিন্ন স্থানে ৪৫টি অটল ক্যান্টিনের দ্বার উন্মোচন করেন। 

দিল্লি সরকার সূত্রে খবর, ধাপে ধাপে আরও বিভিন্ন এলাকায় বাকি ৫৫টি ক্যান্টিন খোলা হবে বলে জানিয়েছেন রেখা। এই ক্যান্টিনগুলিতে প্রতিদিন প্রায় ৫০০ জনকে দুবেলা খাবার পরিবেশন করা হবে। দুপুরের খাবার সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে এবং রাতের খাবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত সাড়ে ৯টার মধ্যে।

দিল্লি সরকার খাবার বিতরণের জন্য হাতে লেখা কুপনের পরিবর্তে একটি ডিজিটাল টোকেন ব্যবস্থা চালু করেছে। দিল্লি আরবান শেল্টার ইমপ্রুভমেন্ট বোর্ডের (ডিইউএসআইবি) ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সিসিটিভি ক্যামেরার সাহায্যে সমস্ত কেন্দ্রগুলিতে পর্যবেক্ষণ করা হবে। এই প্রকল্পের জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

‘মা ক্যান্টিন’ হল পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে শুরু হওয়া একটি প্রকল্প। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় এই প্রকল্প শুরু হয়েছিল। যা বর্তমানেও চালু আছে। এর লক্ষ্য দরিদ্র ও অভাবী মানুষদের জন্য মাত্র পাঁচ টাকায় পেট-ভরা পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করা। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় হাসপাতাল, সরকারি অফিস ও জনবহুল স্থানে চালু আছে। রাজ্য সরকারের নগরোন্নয়ন দফতর (State Urban Development Agency বা SUDA)) এবং জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। মুখ্যমন্ত্রী সম্প্রতি এসএসকেএম হাসপাতালের পাশের একটি মা ক্যান্টিনে আকস্মিক পরিদর্শন করেন এবং খাবার পরিবেশন ও ব্যবস্থাপনার খোঁজখবর নেন।