আজকাল ওয়েবডেস্ক: গত কয়েকদিন ধরেই নজর ছিল ঘূর্ণিঝড় ফেনগালের দিকে। শনিবার সন্ধেয় তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরির উপকূলে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড়। তারপর থেকেই তালিমনাডু এবং পুদুচেরিতে ভারি বর্ষণ একটানা। সোমবারও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি, উল্টে এখনও জারি লাল সতর্কতা। তামিলনাডুর ভিল্লুপুরম এলাকা সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফেনগাল-এর প্রভাবে। পরিস্থিতি বিচারে সোমবারও তামিলনাডু এবং পুদুচেরির সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি স্কুল বন্ধ।
কৃষ্ণগিরিও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত। সেখানকার একটি ভিডিও সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে ইতিমধ্যে। তাতে দেখা গিয়েছে, জলের তোড়ে সেখানে ভেসে যাচ্ছে একের পর এক বাস। উঁচু রাস্তা থেকে বাসগুলিকে জলের তোড়ে নিচু এলাকায় ভেসে যাওয়ার দৃশ্য ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনাস্থল উথাঙ্গিরি বাস স্টপেজ বলে জানা গিয়েছে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, রবিবার রাতে ভয়াবহ ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে তামিলনাড়ুর তিরুবন্নামলইতে। একটানা তুমুল বৃষ্টির জেরে ধস নামে পাহাড়ি এলাকায়। ধসে পড়ে পরপর তিনটি বাড়ি। পালানোর সুযোগ পাননি অনেকেই। ঘুমের মধ্যেই ধসে চাপা পড়েন এক পরিবারের সাতজন। তাঁদের মধ্যে পাঁচজন শিশু। তামিলনাডুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন জানিয়েছেন, বিপর্যয়কালে রাজ্যজুড়ে ১৪৭টি আশ্রয় শিবির খোলা হয়েছে, অন্তত ৭হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে নিরাপদ স্থানে।
পুদুচেরিতে, কৃষ্ণনগরের কিছু এলাকায় ভারি বৃষ্টির কারণে জলের স্তর প্রায় পাঁচ ফুট বেড়েছে বলে খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সুত্রে। প্রবল বর্ষণ পরিস্থিতিতে প্রায় ৫০০ বাড়ির বাসিন্দারা আটকে পরেছেন, যার মধ্যে কয়েকশ মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
