আজকাল ওয়েবডেস্ক: শনিবারই সিআরপিএফের ৪১ ব্যাটালিয়নের কনস্টেবল মুনির আহমেদকে বরখাস্ত করা হয়েছে। গোপনে পাকিস্তানি মহিলাকে বিয়ে, ভিসার মেয়াদ পারের পরও তাঁকে জেনেশুনে আশ্রয় দেওয়ার অপরাধেই মুনিরকে শাস্তি দেওয়া হয়। রবিবার তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তি নিয়ে মুখ খুলেছেন বরখাস্ত কনস্টেবল মুনির আহমেদ। দাবি করেছেন, তাঁর সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে এবং তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে ন্যায়বিচার চেয়েছেন।

সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে মুনির আহমেদ বলেছেন, "আমি সবটাই জানিয়েছি, আমার কাছে প্রমাণ আছে। আমি যথাযথ প্রক্রিয়ায় এবং সংযুক্ত নথি অনুসরণ করেছি।"  

মুনির আহমেদকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত ঘোষণার সময় সিআরপিএফ মুখপাত্র ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল এম ধীনাকরণ বলেছেন, "একজন পাকিস্তানি নাগরিকের সঙ্গে কনস্টেবল মুনির আহমেদ গোপনে বিয়ে করেছিলেন এবং ভিসার মেয়াদ অতিক্রমের পরও জেনেশুনে তাঁকে আশ্রয় দিয়েছিলেন। তাঁর কর্মকাণ্ড চাকরির নিয়ম লঙ্ঘন এবং জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর বলে প্রমাণিত হয়েছে। তাই ওই কনস্টেবলকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।'

মুনির আহমেদ এবং পাকিস্তানি নাগরিক মিনাল খান গত বছরের ২৪শে মে ভিডিও কলে বিয়ে করেছিলেন। মুনির বলেছেন যে, তিনি সিআরপিএফ কর্তৃপক্ষকে বিয়ের কথা জানিয়েছিলেন অক্টোবরে। এই ফেব্রুয়ারিতে, মিনাল খান ওয়াঘা-আটারি সীমান্ত দিয়ে ভারতে আসেন এবং মুনির আহমেদের সঙ্গে বসবাস শুরু করেন। মিনালের ১৫ দিনের ভিসার মেয়াদ মার্চ মাসে শেষ হয়ে যায় এবং। মুনির এরপর স্ত্রী মিনালের দীর্ঘমেয়াদী ভিসার জন্য আবেদন করেন। এক মাস পর, পহেলগাঁওতে সন্ত্রাসবাদী হামলায ২৬ জন নিরপরাধ মানুষ নিহত হন। এরপরই নয়াদিল্লি, ভারতে থাকা পাকিস্তানি নাগরিকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়। মিনাল খানকেও দেশ ছাড়ার কথা বলা হয়। সেই মতো সে ওয়াঘা সীমান্তের দিকে রওনাও হয়েছিলেন। কিন্তু জম্মু ও কাশ্মীর হাইকোর্ট এ দেশ ছাড়ার  শেষ মুহূর্তে আরও ১০ দিন থাকার অনুমতি দেয়।  

?ref_src=twsrc%5Etfw">May 4, 2025

মুনির আহমেদের দাবি, তাঁর স্ত্রী ফেব্রুয়ারিতে ভারতে আসার পর তিনি ছুটিতে ছিলেন। বলেন, "আমি ২৩শে মার্চ পুনরায় কাজে যোগদান করি। আমি সিআরপিএফ কর্তৃপক্ষকে সবকিছু জানিয়েছিলাম। আমি তাদের আমার স্ত্রী মিনালের ভিসার একটি কপি দিয়েছিলাম এবং দীর্ঘমেয়াদী ভিসার আবেদন সম্পর্কেও জানিয়েছিলাম। তারপর হঠাৎ করেই আমাকে (ভোপালে) বদলি করা হয়। ২০২৭ সালে জম্মু ও কাশ্মীরে আমার পোস্টিং শেষ হওয়ার কথা ছিল। যখনই আপনাকে অন্য ব্যাটালিয়নে বদলি করা হয়, আপনি সেখানে যোগদানের জন্য ১৫ দিনসময় পাবেন। আমি তা পাইনি। আমাকে ট্রেনের টিকিটও দেওয়া হয়নি। আমি ৪১ ব্যাটালিয়নে যোগদান করি। ফের আমি তাদের আমার বিয়ে সম্পর্কে সবকিছু বলেছিলাম। আমি আমার বদলির বিষয়ে জায়েরেক্টরকেও লিখেছিলাম। সেই আবেদনটি প্রক্রিয়াধীন।"  

এরপরও চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়ায় হতবাক মুনির আহমেদ। বলেন, "আমি প্রধানমন্ত্রী (নরেন্দ্র মোদি) এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (অমিত শাহ)-এর কাছে আবেদন জানাতে চাই। একজন জওয়ান হিসেবে আমার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা উচিত। আমি ২০২৪ সালে বিয়ে করেছি এবং ২০২২ সাল থেকে আমি পুরো বিষয়টি বিভাগকে জানাচ্ছি। বলুন, অবৈধ কী পেলেন?"