আজকাল ওয়েবডেস্ক: মেঘভাঙা বৃষ্টির পর মর্মান্তিক পরিণতি। কিশ্তওয়াড়ে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, মেঘভাঙা বৃষ্টি-বন্যায় প্রাণ গিয়েছে অন্তত ৬০ জনের। তার মাঝেই ফের ভয়াবহ পরিস্তিতি জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়ায়। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, মেঘভাঙা বৃষ্টি, বন্যায় এখনও পর্যন্ত ধসে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে সাত জনের। আহত বহু।
এই মর্মান্তিক ঘটনার তথ্য সামনে এনেছে কাঠুয়া জেলা প্রশাসন। জানা গিয়েছে, শনিবার রাত থেকেই প্রবল বর্ষণ শুরু হয় কাঠুয়ার একাধিক স্থানে। রাতের অন্ধকারে হু হু করে জল ঢুকে যায় গ্রামে। ভোর সাড়ে তিন-চারটার মধ্যে ভয়াবহ আকার নেয় পরিস্থিতি। ভূমি ধসে চাপা পড়ে এক পরিবারের চারজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত। উদ্ধারকাজে স্থানীয়দের সঙ্গে যোগ দিতে পুলিশ এবং রাজ্য দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বাহিনীর (SDRF) একটি যৌথ দল পৌঁছেছে ঘটনাস্থলে।
আরও পড়ুন: পাঁচ ঘণ্টায় পুতিনের পরপর পাঁচ শর্ত! মূল দাবি নিয়েই চিন্তা, যুদ্ধ থামাতে ট্রাম্পের হাতে পড়ে রইল
কর্মকর্তারা সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, সাতজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং ছয়জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। প্রায় একই সময়ে কাঠুয়ার রাজবাগ এলাকার ঘাটি এবং আরও একাধিক গ্রামে প্রবল মেঘভাঙা বৃষ্টি হয়। একটি গ্রাম সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
Chief Minister has expressed grief over the tragic loss of lives and damage caused by landslides in several parts of District Kathua, including Jodh Khad and Juthana, which claimed 4 lives and left many injured. He conveyed heartfelt condolences to the bereaved families, prayed…
— Office of Chief Minister, J&K (@CM_JnK)Tweet by @CM_JnK
ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সাহার খাদ এবং উজ নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। এলাকার জাতীয় সড়ক, মহাসড়ক, রেলপথ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত। জলমগ্ন কাঠুয়া থানা এলাকা। কাঠুয়ার বন্যা পরিস্থিতি এবং ভূমিধসে মৃত্যুর ঘটনার পর শোক প্রকাশ করেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লা। সিএমওর এক সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'মুখ্যমন্ত্রী কাঠুয়া জেলার বেশ কয়েকটি অংশে, যার মধ্যে যোধ খাদ এবং জুথানাও অন্তর্ভুক্ত, ভূমিধসে ৪ জন নিহত এবং বহু আহত হওয়ার ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছেন, আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন এবং প্রয়োজনীয় সকল সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।'
ওই পোস্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির নিরাপত্তা এবং সহায়তা নিশ্চিত করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনকে তাৎক্ষণিক ত্রাণ, উদ্ধার এবং সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে, বৃহস্পতিবার দুপুরে চিসোতি জেলার মচৈল মাতা মন্দিরের যাত্রাপথে হড়পা বান নেমে আসে। কিশ্তওয়াড়ের ডেপুটি কমিশনার পঙ্কজ শর্মা বৃহস্পতিবারেই জানান, চাসোতি গ্রামে হড়পা বান নেমে এসেছে। এই গ্রাম থেকে ‘মচৈল মাতা যাত্রা’ শুরু হয়। ঘটনার পর পরই উদ্ধারকারী দল ওই গ্রামে পৌঁছেছে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, মৃত্যু হয়েছে ৬০ জনের।
অন্যদিকে টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়েছিল হিমাচল। প্রবল বৃষ্টিপাত ও মেঘভাঙা বৃষ্টির কারণে সিমলা এবং লাহৌল ও স্পিতি জেলার একাধিক রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পাশপাশি বেশ কয়েকটি সেতু ধ্বংস হয়ে যায়। রাজ্য জুড়ে অন্তত ৩২৫টি রাস্তা, যার মধ্যে দু’টি জাতীয় সড়ক রয়েছে, তা বন্ধ রাখা হয় পরিস্থিতি বিচারে।
