আজকাল ওয়েবডেস্ক: লোকসানে যাচ্ছিল স্কুল। লক্ষ্য উন্নতি। আর সেই লক্ষ্যে কু-সংস্কারে বশবর্তী হয়ে নরবলি! প্রাথমিক তদন্তে তেমনটাই মনে করছে পুলিশ। ঘটনাস্থল সেই হাথরস। যোগী রাজ্যের এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই, দেশ জুড়ে নিন্দা, আঁতকে উঠছেন সাধারণ মানুষ।

ঘটনা ঘটেছে হাথরাসে। হোস্টেলের এক কর্মী এবং অন্যান্য পড়ুয়ারা দ্বিতীয় শ্রেণির এক পড়ুয়াকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে। তারপরেও কর্তৃপক্ষ ওই দেহ নিয়ে দীর্ঘ সময় টালবাহানা চালায় বলে অভিযোগ। শিশুটির পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছিল, শিশুর অসুস্থতার কথা জানিয়ে। হস্টেলে পৌঁছে তারা ওই শিশুটিকে প্রথমে খুঁজে পায়নি বলেও অভিযোগ। পড়ে অভিযুক্তদের গাড়িতেই ছেলের দেহ মেলে। 

হাথরাস পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, কুসংস্কারের বশবর্তী হয়ে, স্কুলের উন্নতির লক্ষ্যে এই নির্মম হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে ওই বেসরকারি স্কুলের ডিরেক্টর, তার বাবা। ঘটনায় আরও কয়েকজন জড়িত এবং এখনও পর্যন্ত পুলিশ মোট পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

হাথরাসের রাসগাঁও-এর ডি এল পাবলিক স্কুলের ঘটনা। ওই স্কুলের ডিরেক্টর দীনেশ বাঘেল, তার বাবা যশোধন সিং, এবং লক্ষ্মণ সিং, বীরপাল সিং, রামপ্রকাশ সোলাঙ্কি নামের তিন শিক্ষক এই নির্মম হত্যাকাণ্ডে জড়িত। সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ডিরেক্টরের বাবা কালাজাদু বিষয়ে চর্চা করে দীর্ঘদিন। স্কুলের উন্নতির লক্ষ্যে এর আগেও অন্য পড়ুয়াদের হত্যার চেষ্টা চলেছিল বলে জানা গিয়েছে। তদন্তে নেমে পুলিশ কালাজাদুতে ব্যবহৃত নানা সামগ্রীর খোঁজ পেয়েছে।