আজকাল ওয়েবডেস্ক: স্নান করে বেরোতেই আচমকা জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন যুবক। হাসপাতালে নিয়ে গেলে, চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অস্বাভাবিক মৃত্যুর জন্য দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠান চিকিৎসকরা। ময়নাতদন্তের সময়েই রীতিমতো আঁতকে ওঠেন হাসপাতালের চিকিৎসক। দেখা যায়, জ্যান্ত মুরগির ছানা আটকে ছিল যুবকের গলার কাছে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তিশগড়ের অম্বিকাপুর জেলায়। দমবন্ধ হয়ে ৩৫ বছর বয়সি আনন্দ যাদবের মৃত্যু হয়। কীভাবে দমবন্ধ হল, তা ঘিরে শুরু থেকেই ধোঁয়াশায় ছিলেন সকলে। অম্বিকাপুর মেডিক্যাল কলেজে যুবকের দেহের ময়নাতদন্তের হয়। ময়নাতদন্তের সময় চোখ ছানাবড়া হয়ে যায় চিকিৎসকদের।
হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের সময় ওই যুবকের গলা কাটতেই দেখা যায়, নলিতে কিছু একটা আটকে রয়েছে। খানিকটা কাটতেই দেখা যায়, ভিতরে একটি মুরগির ছানা আটকে। ২০ সেন্টিমিটার লম্বা ওই মুরগির ছানাটি এমনভাবে আটকে ছিল, যে শ্বাসনালি ও খাদ্যনালি উভয়ই বন্ধ হয়ে যায়। এর জন্যই দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয় যুবকের। ময়নাতদন্তের পর মুরগির ছানাটি জ্যান্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, যুবক দীর্ঘদিন ধরেই নিঃসন্তান ছিলেন। সন্তানের আকাঙ্ক্ষায় পুজো করতেন। তন্ত্র-মন্ত্রেও বিশ্বাসী ছিলেন। সন্তানের আশায় কোনও তান্ত্রিকের নির্দেশেই মুরগির ছানা গিলে ফেলেন যুবক। তাতেই ঘটে বিপত্তি। এ ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
