আজকাল ওয়েবডেস্ক: একশ দিনের কাজ। এতদিন নাম ছিল মহাত্মা গান্ধী ন্যাশন্যাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি অ্যাক্ট। এক কথায় এমজিএনরেগা। সেই নাম বদলাচ্ছে, আভাস পাওয়া গিয়েছিল আগেই। জানা গিয়েছিল, একশ দিনের কাজের সম্পূর্ণ নাম থেকে মহাত্মা গান্ধী নাম সরিয়ে নাকি ব্যবহার করা হবে 'পূজ্য বাপু' শব্দদ্বয়কে। কিন্তু সোমবার কী জানা গেল। সূত্রের খবর, সোমবার যে বিল প্রস্তাবিত হতে চলেছে, তাতে উল্লেখ করা হয়েছে এটিকে ভিব-জি রাম জি বিল ২০২৫ (VB-G RAM G Bill 2025) হিসেবে। পুরো নাম, দ্য ভিকসিত ভারত গ্যারান্টি ফর রোজগার অ্যান্ড আজিবিকা মিশন। সরকারের মতে, নতুন বিলটি ভিকসিত ভারত ২০৪৭ দৃষ্টিভঙ্গি পূরণের লক্ষ্যে একটি নতুন কাঠামো হিসেবে উপস্থাপিত করা হয়েছে।

আর এই প্রস্তাবনা সামনে আসতেই, তুমুল চর্চা। ক্ষোভে ফুঁসছে কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস। অভিযোগ, কেন্দ্র কৌশলে একশ দিনের কাজের নাম থেকে মহাত্মা গান্ধীর নাম মুছে ফেলতে চাইছে। ইতিমধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ, সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছেন। কুণাল তাতে লিখেছেন,  'মনরেগা প্রকল্পের নাম বদল।
 মহাত্মা গান্ধীজির নাম পুরো মুছে ফেলছে মোদী সরকার?
নতুন বিলে 'পুজ্য বাপু' নামও রাখা হচ্ছে না। 
সুকৌশলে 'রাম' নাম উল্লেখ করা হয়েছে?
*ভিবি- জি রাম জি- বিল*' সঙ্গেই তিনি লিখেছেন-'আগামীকাল সংসদে পেশ করা হতে পারে এই বিল। এটা সত্যি হলে প্রবণতা মারাত্মক। গান্ধীজীর নাম মুছে ফেললে তীব্র প্রতিবাদ হবে।' 

সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও সুর চড়িয়েছেন ঘটনায়। গ্রামীণ কর্মসংস্থান গ্যারান্টি প্রকল্পের নাম পরিবর্তনের পিছনের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তাঁর প্রশ্ন, 'কেন তারা মহাত্মা গান্ধীর নাম সরিয়ে দিচ্ছে? তাঁকে ভারতের সবচেয়ে বড় নেতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।' সঙ্গেই ক্ষুব্ধ প্রিয়াঙ্কা বলেন, 'আমি বুঝতে পারছি না উদ্দেশ্য কী। সংসদ কাজ করছে না। আমরা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করছি না। সময় এবং জনসাধারণের অর্থ নষ্ট হচ্ছে কেবল।' 

কংগ্রেস সাংসদ রঞ্জিত রঞ্জন বলেন, 'বিজেপির আগে জওহরলাল নেহেরু এবং ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে সমস্যা ছিল। এখন দেশ দেখছে যে তাদের বাপুর সঙ্গেও সমস্যা। কাজের পরিবর্তে কেবল নাম বদল যে লজ্জাজনক, তাও উল্লেখ করেন তিনি। 

২০০৫ সালে তৎকালীন ইউপিএ সরকারের আমলে শুরু হয় এমজিএনরেগা প্রকল্প। গ্রামীণ এলাকায় ১০০ দিনের কাজের নিশ্চয়তা  দিতেই মূলত এই প্রকল্পের সূচনা। নতুন বিলে ১০০ দিনের গ্যারান্টি ১২৫-এ করার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। এতে কাজ শেষ হওয়ার এক সপ্তাহ বা ১৫ দিনের মধ্যে অর্থ প্রদানেরও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।