আজকাল ওয়েবডেস্ক: যুদ্ধবিরতি চললেও ভারত-পাক সীমান্তে উত্তেজনা জারি রয়েছে। এর মাঝেই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী রাজ্য- গুজরাট, পাঞ্জাব, রাজস্থান এবং জম্মু ও কাশ্মীরে মকড্রিল হবে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি ভারত-পাক যুদ্ধের পরিস্থিতিতে এই রাজ্যগুলিতেই পড়শি দেশের হামলা হয়েছিল। 

সম্ভাব্য যুদ্ধ পরিস্থিতি এবং কোনও বহিরাগত আক্রমণ হলে কী করা উচিত সেই বিষয়ে সাধারণ নাগরিককে সতর্ক রাখতেই এই মকড্রিলের আয়োজন। ভারত-পাক সীমান্তে বর্তমানে সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘিত না হলেও সতর্ক ভারত। সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির পরিস্থিতির উপরও কড়া নজর রাখা হয়েছে।

পহেলগাঁতে জঙ্গি হামলার পর ভারত-পাক সংঘাতের আবহে এর আগে চলতি মাসের ৭ তারিখ দেশ জুড়ে মকড্রিলের ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। ওইদিন রাতেই 'অপারেশন সিঁদুর' অভিযান চালানো হয়। বৈসারন উপত্যকায় ২৬ জন নিরাপরাধ মানুষের হত্যার বদলায় পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নয় জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে দেয় ভারত। 

বৃহস্পতিবারের মকড্রিল ঘিরে জল্পনা তৈরি হয়েছে। তাহলে কী আবারও বড় কোনও অ্যাকশনের জন্য তৈরি হচ্ছে বারতীয় বাহিনী? 

গত ৭ মে শেষ মক ড্রিলটিতে, বিমান হামলার সতর্কতা সাইরেন বাজানো হয়েছিল এবং দেশের সাধারণ নাগরিক এবং শিক্ষার্থীদের আক্রমণের ক্ষেত্রে নিজেদের এবং তাদের আশেপাশের মানুষগুলিকে কীভাবে রক্ষা করতে হবে সে সম্পর্কে নাগরিক প্রতিরক্ষা সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছিল। ওই মকড্রিল ছিল ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধের পর প্রথমমহড়া। গতবার মরড্রিল দেশের ৩৩টি রাজ্য ওকেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ২৫০টি জায়গায় হয়েছিল।

'অপারেশন সিঁদুর'-এর পর পাল্টা হামলা চালায় পাকিস্তান। সীমান্তবর্তী রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ড্রোন ও ক্ষপনাস্ত্র হামলা চলে। যেগুলি প্রতিহত করে ধ্বংস করে দিয়েছিল ভারতীয় বাহিনী। সেই সময়ে নাগরিক সুরক্ষার্থে জম্মু-কাশ্মীর, পাঞ্জাব-সহ একাধিক রাজ্যে দীর্ঘ সময়ের জন্য আলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।