আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রেম করে ভিন জাতের তরুণকে বিয়ে! তাও আবারও চুপিসারেই! পরিবারের আপত্তির তোয়াক্কা না করেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয় প্রেমিক যুগল। এরপরই শুরু তুমুল অশান্তি। নবদম্পতির সংসার তছনছ করার অভিযোগ উঠল কনের পরিবারের বিরুদ্ধে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে তেলেঙ্গানায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জগতিয়াল জেলায় পরিবারকে না জানিয়ে এক প্রেমিক যুগল চুপিসারে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়। যে ঘটনা জানাজানি হতেই তুমুল অশান্তি শুরু করে কনের পরিবার। মালায়ালা মণ্ডলের বাসিন্দা মুথু কুমার ও গুন্তুর জেলার বাসিন্দা মান্ধবী এক সপ্তাহ আগেই কোন্ডাগাট্টুতে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রেম করে বিয়ের খবর জানতে পেরেই তুমুল ঝামেলা শুরু করে মান্ধবীর পরিবার। রবিবার যা চরম পর্যায়ে পৌঁছয়। মুথু কুমারের বাড়িতে গিয়ে অশান্তি শুরু করে তারা। মুথুর পরিবারের সদস্যদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে মান্ধবীর আত্মীয়দের বিরুদ্ধে। এমনকী জোরজবরদস্তি করে মান্ধবীকে শ্বশুরবাড়ি থেকে বের করে আনার অভিযোগ উঠেছে।
এই ঘটনার পরেই মালায়ালা থানায় নববধূর পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে মুথুর পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে তারা। ভিন জাতের তরুণকে বিয়ে করার জেরেই মূলত আপত্তি ছিল মান্ধবীর পরিবারের। পরিবারের আপত্তি সত্ত্বেও বিয়ে করার জেরে মারধরের ঘটনাটি তারা ঘটিয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, গত বছর জুন মাসে এমন এক ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল। ভিন জাতের যুবকের সঙ্গে মেয়ের প্রেম। তা ঘিরেই পারিবারিক অশান্তি চরমে। শেষমেশ মেয়েকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে খুন করল বাবা। রবিবার ঘাতক বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে দিল্লি পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে প্রেম নগর এলাকায়। তরুণীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে কানঝাওয়ালা এলাকার কাছে একটি মাঠ থেকে। হাসপাতালে তরুণীকে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার তদন্ত শুরুর পর এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। তাতেই দেখা যায়, তরুণীকে ট্যাক্সি করে এনে মাঠে ফেলে রেখে চলে যায় কেউ। ট্যাক্সি চালককে আটক করে জেরা করে পুলিশ। ট্যাক্সি চালক জানান, তরুণীর বাবাই মৃতদেহ মাঠে ফেলে রেখে চলে যায়।
এরপরই ঘাতক বাবাকে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের সময় খুনের ঘটনাটি স্বীকার করে নেয়। জানায়, মেয়ে ভিন জাতের প্রেমিককে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। যাতে তার মত ছিল না। তার পছন্দের পাত্রের সঙ্গে বিয়েতে রাজি হচ্ছিলেন না মেয়ে। যা নিয়ে প্রায়ই অশান্তি হত। রাগের মাথায় মেয়েকে কাচ কাটার যন্ত্র দিয়ে খুন করে সে।
