আজকাল ওয়েবডেস্ক: ফুলশয্যায় কেলেঙ্কারি। ঘরে ঢুকেই স্বামীকে বাল্ব আনতে বলেছিলেন নববধূ। যা শুনেই ভয়ের চোটে বাড়ি ছেড়েই পালিয়ে গেলেন স্বামী। ঘটনাটি ঘিরে তুমুল শোরগোল গোটা এলাকায়। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মিরাটে। পাঁচ দিন আগেই মুজাফফরনগরে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিল দম্পতি। ফুলশয্যায় ঘটে বিপত্তি। ফুলশয্যায় ঘরে ঢুকেই নববধূ দেখেন, ঘর জুড়ে অতিরিক্ত আলো। আলোর রোশনাই পছন্দ ছিল না তাঁর। ঝলমলে আলোয় ঘুম আসবেও না। সঙ্গে সঙ্গে স্বামীকে জানান, ছোট কোনও বাল্ব নিয়ে আসতে। যাতে ঘরে ঝলমলে আলো থেকে রেহাই পাওয়া যায়। 

নববধূ কেন বাল্ব আনতে বললেন, এই দাবি শুনেই আতঙ্ক ছড়ায়। তবে কোনও প্রতিক্রিয়া দেখাননি যুবক। ছোট বাল্ব আনতে যাওয়ার নামে ঘর থেকে বেরিয়েই উধাও হয়ে যান। সারারাত নববধূ ও পরিবারের সদস্যরা তাঁর খোঁজ করেন। কিন্তু কোথাও পাওয়া যায়নি। স্বামী যে কেন পালিয়ে গেলেন, তা ঘিরে ধোঁয়াশায় ছিলেন নববধূ। বিয়ের পরেই আতঙ্কে গোটা পরিবার। 

সেই ঘটনার পাঁচ দিন পর অবশেষে নিখোঁজ যুবকের খোঁজ পেয়েছে পুলিশ। পাঁচ দিন পর হরিদ্বার থেকে যুবককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। জানা গেছে, যুবকের ফুলশয্যার পরদিনই তাঁর দুই বোনের বিয়ে ছিল। আতঙ্কের মাঝেই সেই বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। সোমবার এক আত্মীয়কে ফোন করে যুবক জানান, তিনি হরিদ্বারে আছেন। এরপর পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে। 

পুলিশকে যুবক জানিয়েছেন, ফুলশয্যায় নববধূর দাবি শুনেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। ভয়ের চোটে, মানসিক চাপে তিনি চুপিচুপি পালিয়ে যান। অবশেষে আতঙ্কের ছায়া দূর হয়েছে বাড়ি থেকে। 

চলতি সপ্তাহে এই রাজ্যেই আরেকটি অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছিল। বিয়ের জন্য কয়েক মাসের প্রস্তুতি। কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে ধুমধাম বিয়ে। শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে পরেই নতুন সংসারে ফাটল। শ্বশুরবাড়িতে পা রাখার পরেই বিয়ে ভাঙার ঘোষণা করলেন নববধূ। যে ঘটনাটি ঘিরে শোরগোল গোটা এলাকায়। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়া জেলায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৫ নভেম্বর সালমেপুরের পূজা ও ভালুয়ানির বিশাল মাধেসিয়া বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বিশালের বাবার ছোট্ট মুদি দোকান রয়েছে। সেদিন সন্ধ্যায় বরযাত্রীদের শোভাযাত্রা পৌঁছয় বিয়ের আসরে। সেদিনই সমস্ত আচার, রীতি মেনে বিয়ে সম্পন্ন হয়। 

এরপরই শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন পূজা। বরযাত্রীদের সঙ্গেই নতুন বাড়িতে পৌঁছন তিনি। কিছুক্ষণ পরেই বরের ঘরে প্রবেশ করেন। ২০ মিনিট পর সেই ঘর থেকে বেরিয়েই বিয়ে ভাঙার ঘোষণা করেন পূজা। বিশালের সকল আত্মীয়স্বজন, পরিবারের সামনেই বিয়ে ভাঙার সিদ্ধান্ত জানান তিনি। প্রথমে সকলেই ভেবেছিলেন পূজা মজার ছলে এই ঘোষণা করেছেন। কিন্তু কেন রাতারাতি এই বড় পদক্ষেপ করলেন, তা সকলেই জিজ্ঞাসা করেন। কিন্তু পূজা মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন। 

বিয়ের দিই নিজের বাড়িতে ফিরে যাবেন বলে জানান পূজা। কিন্তু বিয়ে ভাঙার কারণ কাউকে জানাননি। সকলেই তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু বারবার তিনি বলতে থাকেন, 'আমার পরিবারকে এখানে ডাকুন। আমি বাড়ি যাব।' এরপর তাঁর পরিবারকে বিশালের পরিবার ডেকে পাঠায়। ২৬ নভেম্বর পঞ্চায়েতে বৈঠক বসে। দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টা আলোচনা করে দুই পরিবার।‌ 

দীর্ঘ আলোচনার পরেও সমস্যার সমাধান হয়নি। দুই পরিবার বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তে রাজি হয়ে যায়। তবে কী কারণে পূজা এহেন সিদ্ধান্ত নিলেন, তা অজানাই থেকে গেছে সকলের কাছে। বিশাল জানিয়েছেন, দেখাশোনার পর্ব থেকেই পূজা নর্মাল আচরণ করছিলেন। তাঁর আচরণে কখনও সন্দেহ হয়নি। নতুন বাড়িতে পা রেখেই কেন বিয়ে ভাঙলেন, তা ঘিরে ধোঁয়াশায় তিনিও।