আজকাল ওয়েবডেস্ক: যেন মধ্যযুগীয় বর্বরতা! মজুরি নিয়ে মালিকের সঙ্গে ইট ভাটার শ্রমিকদের বচসা চলছিল। ক্রমেই ঝঞ্ঝাট বাড়ে। এরপরই ভাটার মালিক নজিরবিহীনভাবে শ্রমিকদের হাত-পা বেঁধে লোহার রড দিয়ে মারধর করেছেন বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই একটি ভিডিও সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ফলে, ওই পৈশাচিক ঘটনার প্রতিবাদে ইট ভাটার মালিক ও তাঁর বেশ কয়েকজন সহযোগির বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। শুরু হয়েছে তদন্ত।
কর্নাটকের বিজয়পুরায় গান্ধী নগরের স্টার চকের কাছে এক ইট ভাটায় এই ঘটনা ঘটেছে। নির্য়াতিত শ্রমিকদের দাবি, তাঁরা দুই মাস ধরে ভাটায় কাজ করছিলেন এবং প্রতি ১০০০ ইটের জন্য ৬০০ টাকা করে মজুরি পেতেন। উৎসবের পর শ্রমিকরা কাজে ফিরতে দেরি করলে এবং ৫০,০০০ টাকা অগ্রিম পরিশোধ না করে চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করার অভিযোগে মালিকদের সঙ্গে শ্রমিকদের বিরোধ শুরু হয়।
শ্রমিকদের দাবি, মালিক খেমু রাঠোড় এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ আরও প্রায় সাত-আটজন শ্রমিক অন্য তিন জন শ্রমিককে হাত-পা বেঁদে লোহার পাইপ দিয়ে মারধর করেছেন। এমনকি চোখে মরিচের গুঁড়ো ছুঁড়ে মেরেছে। শ্রমিকদের অভিযোগ, এরপর ভাটার মালিক খেমু রাঠোড় তাঁদের গুলি করার হুমকি দেন এবং ঘটনাটি পুলিশে না জানানোর জন্য সতর্ক করে দেন।
ইট ভাটার এক শ্রমিক সদাশিব বাবলাদি বলেন, "আমরা যখন আরও টাকা চাইলাম, তখন তিনি আমরা কাজ ছেড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করার করছি বলে অভিযোগ এনে মারধর শুরু করলেন। এমনকি তারা আমাদের চোখে মরিচের গুঁড়ো ঢেলে দিয়েছিলেন, পরে জল ঢেলে দেন। পাশাপাশি রিভলবার দেখিয়ে গুলি করার ভয় দেখান। তিনি আমাদের পুলিশে এই বিষয়ে অভিযোগ না জানানোর জন্য হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। কিছুই ঘটেনি বলে সকলকে বলতে বাধ্য করেছিলেন।"
তবে, নির্যাতনের সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার পর অমানবিক ঘটনাটি জানাজানি হয়ে যায়। বিজয়পুরা গ্রামীণ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে, যার প্রেক্ষিতে তদন্ত চলছে। স্থানীয় বাসিন্দা এবং কর্মীরা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোরপদক্ষেপ করার দাবি জানিয়েছেন।
