আজকাল ওয়েবডেস্ক: রাজ্য পরিচালিত সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত মাদ্রাসায় কি ভারতের জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত? তা নিয়েই তীব্র বাকযুদ্ধে জড়ালেন মধ্যপ্রদেশের দুই বিধায়ক। ভোপাল শহরের অন্তর্গত হুজুর বিধানসভা কেন্দ্রের ৫৪ বছরের বিজেপি বিধায়ক রামেশ্বর শর্মার মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক চরমে ওঠে। বিধানসভায় তিনি বলেছিলেন, "সরকার যদি মাদ্রাসার জন্য জমি এবং আর্থিক সহায়তা দেয়, তাহলে কেন সেখানে জাতীয় সঙ্গীত বাধ্যতামূলক করা যাবে না? এতে দোষের কী আছে? নিয়মটি সমস্ত সরকারী অনুদানপ্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সমান হওয়া উচিত,"
বিজেপি বিধায়কের এই মন্তব্য়ের পরই প্রতিক্রিয়া দেন ভোপাল মধ্য বিধানসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস বিধায়ক আরিফ মাসুদ। কটাক্ষের সুরে তিনি জানান, এইসব ভিত্তিহীন মন্তব্যের আগে রামেশ্বর শর্মার অবশ্যই মাদ্রাসায় যাওয়া প্রয়োজন। মাসুদের কথায়, "বিজেপি বিধায়ক (রামেশ্বর শর্মা) কি কখনও মাদ্রাসায় গিয়েছিলেন? গেলেই জানতে পারতেন যে, মাদ্রাসায় ভর্তি হওয়া প্রতিটি শিশু কোনও বিরতি ছাড়াই জাতীয় সঙ্গীত গাইতে পারে।।" মাসুদের দাবি, রামেশ্বর একটানা জাতীয় সঙ্গীত গাইতে পারবেন না। বলেন, "আমি ওনার একটি ভিডিও দেখেছি। রামেশ্বর একটানা ভালো করে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে পারছেন না। "
স্বাভাবিকভাবেই কংগ্রেসের মাসুদের কটাক্ষ হজম করতে পারেননি গেরুয়া শিবিরের বিধায়ক রামেশ্বর শর্মা। তিনবারের বিজেপি বিধায়ক বিরোধী দলের বিধায়ক মাসুদকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, "আমি তাঁকে প্রকাশ্যে (আরিফ মাসুদ) জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার জন্য চ্যালেঞ্জ করছি। যদি উনি এটা করতে পারেন, আমিও হাততালি দেব।"
দুই বিধায়কের বাকযুদ্ধের মাঝেই আরেক পদ্ম বিধায়ক উষা ঠাকুরের দাবি, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মাদ্রাসাগুলিতে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া বাধ্যতামূলক হলে তাকে স্বাগত জানাই। ইন্দোরের মও কেন্দ্রের বিধায়ক বলেছেন, "ছোট থেকেই শিশুদের মনে দেশপ্রেম বোধ তৈরি করা প্রয়োজন। এ জন্য কোনও বিতর্ক ছাড়াই সব স্কুল ও কলেজে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া বাধ্যতামূলক হলে তাকে স্বাগত জানাব৷"
