আজকাল ওয়েবডেস্ক: শুক্রবার বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল। মহাগটবন্ধনকে পিছনে ফেলে সরকার গড়ার পথে এনডিএ জোট। তার মধ্যে রয়েছে নীতীশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেডও।

কিন্তু নির্বাচনের ফলাফলের দিনেই জেডিইউয়ের একটি পোস্ট ঘিরে ফের জল্পনা তুঙ্গে। এমনকি, যাতে বিতর্ক না বাড়ে সে কারণে মুছেও ফেলতে হয়েছে এই পোস্ট। এদিন এক্স হ্যান্ডেলে জেডিইউয়ের তরফে একটি পোস্ট করা হয়।

বিহারে এনডিএ জোটের জয় যখন একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী পদে নীতীশ কুমারের ভবিষ্যৎ নিয়ে যখন রাজনৈতিক মহলে জোর আলোচনা চলছে।

ঠিক তখনই জেডিইউ-এর তরফে একটি পোস্টে তাঁকে আবারও মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করা হয়। পোস্টে লেখা ছিল, ‘অপ্রতিদ্বন্দ্বী ও তুলনাহীন। নীতীশ কুমার ছিলেন, আছেন এবং বিহারের মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন।’

তবে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা এই পোস্ট কয়েক মিনিটের মধ্যেই মুছে ফেলে জেডিইউ। আর এতেই শুরু হয় রাজনৈতিক শোরগোল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে নানা জল্পনা-কল্পনা।

বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কি নীতীশ কুমারই থাকছেন নাকি এনডিএ জোটের অন্য কোনও পরিকল্পনা রয়েছে? উল্লেখযোগ্য, বিহারে ভোটের আগে বিজেপি বারবার দাবি করেছিল যে নীতীশ কুমারের নেতৃত্বেই তারা লড়াইয়ে নামছে।

তবে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করার কথা কখনও জানানো হয়নি। উল্লেখ্য, এদিন গণনার শুরু থেকেই ইঙ্গিত মিলছিল। অর্থাৎ বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে খুব সামান্য হেরফেরও লক্ষণীয় নয়।

তরতর করে এগিয়েই চলছিল এনডিএ জোটের ভোটের সংখ্যা। বিহার বিধানসভার আসন সংখ্যা ২৪৩। ম্যাজিক ফিগার ১২২। । ঘণ্টাখানেক আগেই, সেই ম্যাজিক ফিগার টপকে, ১৯০ আসনে এগিয়ে এনডিএ শিবির।

প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য, গেরুয়া শিবিরের ঝুলিতে, এই মুহূর্তে সবথেকে বেশি ভোট। ৮৯ আসনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি এককভাবে। কিছুক্ষণ আগে পর্যন্ত, সবথেকে বেশি আসনে এগিয়ে ছিল জেডিইউ।

এই মুহূর্তে নীতীশ কুমারের দল এগিয়ে ৮৩ আসনে। অন্যদিকে মহাগটবন্ধনের নেতারা যেখানে সরকার গড়ার প্রত্যাশা করেছিলেন, সেখানে বেশ অনেকটাই পিছিয়ে তাঁরা।

মহাগটবন্ধন সকাল সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত এগিয়ে মাত্র ৪৯ আসনে। আরজেডি এককভাবে এগিয়ে ৩৫ আসনে। অন্যদিকে হাত শিবির, অর্থাৎ কংগ্রেস মাত্র ৬ আসনে এগিয়ে রয়েছে।

শুরু থেকেই বিহারের বিরোধী জোটের মুখ্যমন্ত্রীর পদপ্রার্থী তেজস্বী যাদব এগিয়ে তাহকলেও, গণনার এই পর্যায়ে পৌঁছে পিছিয়ে পড়েছেন তিনিও। তবে জয়ের আভাসে উচ্ছ্বাস পাটনায় এখন থেকেই।

নীতীশের অনুরাগী, সমর্থকরা মেতে উঠেছেন আবির খেলায়। বিজেপির একাধিক কার্যালয়ের সামনে ইতিমধ্যে জমায়েত শুরু হয়ে গিয়েছে, শুরু হয়ে গিয়েছে লাড্ডু বিলিও।