আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিহারে কংগ্রেসের সহযোগিতায় মহাগঠবন্ধনের রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) ১৪৩টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। জয় পেয়েছে মাত্র ২৫টিতে। কংগ্রেসের অবস্থা আরও শোচনীয়। শুক্রবারের গণনার পর নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, আসন সংখ্যায় যথেষ্ট পিছিয়ে থাকলেও, আরজেডি বিহারের যে কোনও দলের তুলনায় শতাংশের দিক থেকে বেশি ভোট পেয়েছে।
গত নির্বাচনে আরজেডি ১৪৪টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল আরজেডি। ভোট জিতেছিল ২৩.১১ শতাংশ। ২০২৫ সালে প্রাপ্ত ভোটের হার ২৩ শতাংশ। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের (ইসিআই) তথ্য অনুসারে, বিজেপির ভোটের ভাগ ২০২০ সালে ১৯.৪৬ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০.০৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। গত নির্বাচনে বিজেপ ১১০টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। ২০২৫-এর নির্বাচনে লড়েছে ১০১টি আসনে।

প্রাপ্ত ভোটের হার সর্বাধিক হওয়া সত্ত্বেও কেন হেরে গেল আরজেডি?
ভোটের ভাগ হল একটি রাজনৈতিক দল বা প্রার্থীর প্রাপ্ত মোট ভোটের শতাংশ। প্রাপ্ত ভোটের শতাংশ ভোটারদের মধ্যে একটি দলের জনপ্রিয়তা বা সমর্থন সম্পর্কে অনেক কিছু বলে। আরজেডি-র সর্বোচ্চ ভোট অর্জনের অর্থ হল কিছু নির্বাচনী এলাকায়, তারা দ্বিতীয় (অথবা তৃতীয়) হতে পারে। অনেক ভোট পাবে কিন্তু তা জেতার জন্য যথেষ্ট নয়। এটি তাদের মোট প্রাপ্ত ভোটের শতাংশ বাড়িয়ে দেবে, কিন্তু তাদের আসন সংখ্যায় নয়।
এটি আরও ইঙ্গিত দেয় যে, সামগ্রিকভাবে অনেক ভোট পেলেও, সেই ভোটগুলি এমন নির্বাচনী এলাকায় নষ্ট হতে পারে যেখানে তারা জিততে পারেনি। হয় কম ভোটের ব্যবধানে জিতেছে অথবা কম ভোটের ব্যবধানে হেরেছে।
ভোটের ভাগ বেশি হওয়ার আরও একটি কারণ হল, এনডিএ-র বিজেপি বা জেডিইউ-র তুলনা আরজেডি বেশি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। বিজেপি এবং জেডিইউ উভয়েই ১০১টি করে আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। এর অর্থ, আরজেডির ঝুলিতে আরও ৪২টি আসনের ভোট এসেছে। আরজেডির প্রাপ্ত ভোট ১,১৫,৪৬,০৫৫। যেখানে ১,০০,৮১,১৪৩ জন বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন।

মহাজোটে আরজেডির মিত্ররাও ব্যর্থ হয়েছে, কংগ্রেস ৬১টি আসনের মধ্যে মাত্র ছ’টিতে জিতেছে। সিপিআই(এমএল) দুটি আসন, সিপিআই(এম) একটি এবং সিপিআই কোনও আসন পায়নি, ফলে মহাগঠবন্ধনের মোট আসন সংখ্যা ৩৫-এ সীমাবদ্ধ রয়ে গিয়েছে।
এনডিএ ২০২টি আসন পেয়েছে, যার মধ্যে বিজেপির অবদান সবচেয়ে বেশি ৮৯টি, এরপর জেডিইউ ৮৫টি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরাগ পাসওয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি (রাম বিলাস) ১৯টি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতন রাম মাঝির হিন্দুস্তানি আওম মোর্চা (এইচএএম) পাঁচটি এবং রাজ্যসভার সাংসদ উপেন্দ্র কুশওয়াহার জাতীয় লোক মোর্চা চারটি আসন পেয়েছে।
