আজকাল ওয়েবডেস্ক: অভিষেকেই ব্যর্থ প্রশান্ত কিশোর। বিহারের ভোটে খাতাই খুলতে পারল না জন সূরজ পার্টি। গণনার প্রাথমিক পর্বে দু'টি আসনে এগিয়ে থাকলেও শেষমেষ ধরাশায়ী পিকে-র দল। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নের মুখে একদা ভোটকূশলী থেকে রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠা প্রশান্ত কিশোরের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ।
বেশিরভাগ বুখ ফেরৎ সমীক্ষাতেই জন সূরজ পার্টিকে কোনও নম্বরই দেওয়া হয়নি। সেই ভবিষ্যদ্বাণীই সত্যি হল ফলাফল প্রকাশের পর।
এবারের ভোটে বিহারে বদলের ডাক দিয়েছিলেন প্রশান্ত কিশোর। এনডিএ বা মহাগঠবন্ধনের অংশীদার হয়নি জন-সূরাজ পার্টি। একাই রাজ্যের ২৪৩ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিনা করেছিল দল। সম্ভবত 'কিং মেকার'-এর ভূমিকায় নিজেদের মেলে ধরতে চেয়েছিলেন প্রশান্ত। পিকে নিজে বার বার দাবি করেছেন, একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তাঁর দল ক্ষমতা আসবে। কিন্তু, বাস্তবে তেমন কিছুই হল না।
এই ফলাফল নিয়ে আপাতত কী ভাবছেন প্রশান্ত কিশোর? ভোটের গণনা চলাকালীন অবশ্য তারঁর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
এবার কী করবেন প্রশান্ত কিশোর? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনেকের মতে, প্রশান্ত কিশোরের বিশ্বাসযোগ্যতা ক্রমশ তলানীতে। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে পিকে দাবি করেছিলেন, মোদির নেতৃত্বে এনডিএ প্রায় ৪০০ আসন ছুঁয়ে ফেলবে। বাস্তবে তা ঘটেনি। বিহারের মানুষেরও মন বুঝতে কার্যত ব্যর্থ পিকে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, কর্মসংস্থান, জনজীবনে বদলের কথা বলে প্রচার সেরেছিলেন প্রশান্ত কিশোর। কিন্তু বিহারের তরুণ প্রজন্ম তা গ্রহণ করেনি। ফলে এ যাত্রায় অপ্রাসঙ্গিক হয়েই রয়ে গেলেন প্রশান্ত কিশোর।
