আজকাল ওয়েবডেস্ক: এগিয়ে থাকার নিরিখে বিহারে অনেকটাই পিছিয়ে আরজেডি। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত  ভোট শতাংশের বিচারে বিজেপি, জেডিইউ-কে পিছনে পেলে দিয়েছে তেজস্বী প্রতাপের দল।

২৪৩ আসন বিশিষ্ট বিহার বিধানসভায় ১৪৩টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল আরজেডি, এখনও পর্যন্ত হ্যারিকেন শিবির ২২.৮৪ শতাংশ ভোট পেয়েছে। এই পরিসংখ্যান বিজেপির থেকে ১.৮৬ শতাংশ এবং জেডিইউ-এর থেকে ৩.৯৭ শতাংশ বেশি৷

২০২০ সালের রাজ্য নির্বাচনে একক বৃহত্তম দলের তকমা পেয়েছিল আরজেডি। তেজস্বীর দল পেয়েছিল ৭৫টি আসন। এবার আরজেডি এগিয়ে মাত্র ২৭ আসনে। ২০১০ সালের পর এই ফলাফলই বিহার নির্বাচনে আরজেডি-র দ্বিতীয় সবচেয়ে খারাপ ফলাফল। সেবার লালুর দলের জুটেছিল মাত্র ২২টি আসন। 

বিরোধী মহাগঠবন্ধনের মুখ্যমন্ত্রী মুখ তেজস্বী যাদবও বর্তমানে আরজেডি গড় রাঘোপুর আসন থেকে পিছিয়ে রয়েছেন। লালু-রাবড়ির গড়ে প্রায় পাঁচ হাজার ভোটে পিছিয়ে রয়েছেন তেজস্বী। 

মহাগঠবন্ধনের আরেক শরিক কংগ্রেসের অবস্থাও শোচনীয়। হাত শিবির মাত্র চারটি আসনে এগিয়ে। এছাড়া বিরোধী জোটের শরিক সিপিআইএম (এল) লিবারেশন চারটি আসনে এবং সিপিআই একটিতে এগিয়ে রয়েছে।

অন্যদিকে, এনডিএ বর্তমানে ২০৭টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। বিজেপি ৯৫টিতে এগিয়ে রয়েছে, জেডিইউ ৮৪টিতে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরাগ পাসোয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি (রাম বিলাস) ১৯টিতে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতন রাম মাঞ্জির হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা পাঁচটিতে এবং রাজ্যসভার সাংসদ উপেন্দ্র মোর্চাত্রী চারটিতে এগিয়ে রয়েছে।

প্রশান্ত কিশোরের নেতৃত্বাধীন জন সুরাজ পার্টি এবং মুকেশ সাহানীর বিকাশশীল ইনসান পার্টি-র (ভিআইপি) কোনও আসন পায়নি।

বিহারে দুই দফায় ভোট হয়েছে - ৬ নভেম্বর এবং ১১ নভেম্বর -- এবং ৬৬ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। যা ১৯৫১ সালের পর থেকে রাজ্যে সর্বোচ্চ।

পুরুষ ভোটারদের মধ্যে ভোটদানের হার ছিল ৬২.৮ শতাংশ, যেখানে মহিলা ভোটারদের মধ্যে এটি ছিল ৭১.৬ শতাংশ৷