আজকাল ওয়েবডেস্ক: সৌদি আরবের আল খোবার শহরে ভয়াবহ ঘটনা ঘটালেন হায়দরাবাদের এক মহিলা বাসিন্দা। এই মর্মান্তিক ঘটনায় শিউরে উঠেছেন স্থানীয়রাও। হায়দরাবাদের মহম্মদি লাইন্সের বাসিন্দা সৈয়দা হুমেরা আমরিনের বিরুদ্ধে এক বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, নিজের তিন সন্তানকে হত্যা করার পর নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। নিহত শিশু সাত বছরের যমজ পুত্রসন্তান সাদেক আহমেদ ও আদেল আহমেদ, এবং তিন বছরের কনিষ্ঠ পুত্র ইউসুফ আহমেদ। তাদের বাবা এবং হুমেরার স্বামী মহম্মদ শাহনওয়াজ কাজ থেকে ফিরে এসে তাদের মৃতদেহ দেখে সঙ্গে সঙ্গে সৌদি কর্তৃপক্ষকে খবর দেন। পুলিশ এসে আমরিনকে গ্রেপ্তার করেছে।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, আমরিন কিছুদিন ধরেই মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন এবং বিদেশে একাকীত্বের কারণে মানসিক চাপের মধ্যে ছিলেন। এছাড়া পারিবারিক অশান্তিও ঘটনার পেছনে প্রভাব ফেলতে পারে। তবে ঘটনার সঠিক কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। জানা গিয়েছে, নিজের তিন সন্তানকে বাথটবে ডুবিয়ে হত্যা করেন হুমেরা। পরবর্তীকালে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। কিন্তু সফল হননি, পরে পুলিশের হাতে তিনি গ্রেপ্তার হন। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে আরও এক ভয়ানক ভিডিও। যেখানে দেখা গেছে, ছাদ থেকে এক কোলের শিশুকে নীচে ছুড়ে ফেলেন এক মহিলা। যদিও বরাত জোরে শিশুটির প্রাণ বেঁচে গেছে। ছাদের নীচেই কয়েকজন দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাঁরাই শিশুটিকে বল ধরার মতো দুই হাতের মধ্যে ধরে ফেলেন।

সদ্য ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটিতে দেখা গেছে, একটি বাড়ির নীচের কয়েকজন মানুষ জড়ো হয়ে আছেন। সকলেই উপরের দিকে তাকিয়ে। এক নজরে দেখলে মনে হবে, তাঁরা হয়তো উপরে কিছু একটা দেখছেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই জানা যায়, সকলের উপরের দিকে তাকিয়ে থাকার অন্য উদ্দেশ্য ছিল। ভিডিওতে দেখা গেছে, এক মহিলা ছাদের কার্নিশে এসে দাঁড়িয়ে আছেন। তাঁর কোলে এক শিশু। কোনও মতে নীচে নামার চেষ্টা করছেন ওই মহিলা। তারপরেই হঠাৎ কোলের শিশুটিকে নীচে ছুড়ে ফেলেন। নীচে দাঁড়ানো কয়েকজন ব্যক্তি সেই শিশুটিকে ধরেও ফেলেন। শিশুটির যদিও কোনও আঘাত লাগেনি। ভিডিওটি কোথায় তোলা হয়েছে, তা জানা যায়নি। তবে মজার ছলে ভিডিওটি বানানো হয়নি‌। বাস্তবেই এমন একটি ঘটনা ঘটেছে।

যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই তুমুল ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন নেটিজেনরা। ওই মহিলার কাণ্ডজ্ঞান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। অনেকেরই মতে, শিশুটিকে অন্য উপায়েও উদ্ধার করা যেত। তার জন্য শিশুটির প্রাণ নিয়ে ছিনিমিনি খেলা উচিত হয়নি। একজন লিখেছেন, 'আজকাল কি অ্যাপের মাধ্যমে শিশু অর্ডার করা হচ্ছে? একটি শিশু হারিয়ে গেলেই, দশ মিনিট পর আরেকটি শিশু পাওয়া যাচ্ছে?' আরেকজন লিখেছেন, 'এ কেমন মা! শিশুটির যদি কিছু হয়ে যেত! নিজেকে ক্ষমা করতে পারতেন? ঈশ্বরের কৃপা, তাই শিশুটির কোনও আঘাত লাগেনি।' আরেকজন লিখেছেন, 'শিশুটি হয়তো আটকে পড়েছিল উপরে। তার সত্ত্বেও এভাবে উদ্ধার করা ঠিক হয়নি। যদি নীচের মানুষদের হাত পিছলে যেত?' আরেকজন লিখেছেন, 'মানুষ আজকাল বড্ড বিবেকহীন। শিশুদের প্রাণ নিয়ে ছিনিমিনি খেলতেও একবার বাধে না।'