আজকাল ওয়েবডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের বেরেলি পুলিশের গাফিলতিতে অভিযুক্ত নয়, জেল খাটছেন একই নামের অন্য একজন। যা নিয়ে রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে। 

ঘটনা গত ১৩ এপ্রিলের। ২০২০ সালে স্থানীয় একটি আদালত বিদ্যুৎ চুরির মামলায় ছোটের স্ত্রী মুন্নির বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। সেই নির্দেশ কার্যকর করতে পুলিশ বরেলির বান্দিয়া গ্রামের মুন্নির খোঁজে যায়। সেখান থেকেই ধরে জেলবন্দি করে মুন্নিকে। তবে, সময় এগোতেই ধরা পড়ে যায় বিরাট ভুল। নামটা এক হলেও, এই মুন্নি অভিযুক্ত নন, সম্পূর্ণ আলাদা মানুষ। এই মুন্নির স্বামীর নাম জানকি প্রসাদ।

অভিযুক্তের নাম মেলানো ছাড়া কোনওরকম যাচাই না করাতেই এই বিপত্তি। বিনা দোষে তিন-চারদিন জেল খটতে হয়েছে জানকী-জায়া মুন্নিকে। 

দিন চারেক পর পুলিশ ভুল বুঝতে পারে, এবং মুন্নি দেবীকে মুক্তি দেয়। এত বড় ভুল সত্ত্বেও মুন্নিদেবীর কাছে কোনও ধরনের ক্ষমা চায়নি পুলিশ। উল্টে তাঁকে ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের 'চুপচাপ থাকতে ও সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা না বলতে' নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

তার স্বামীর নাম বা কোনও ব্যক্তিগত পরিচয়পত্রের মতো ক্রস-চেক না করেই পুলিশ মুন্নি দেবীকে জেলে পাঠায়। এমন একটি অপরাধের জন্য তিনি চার দিন হেফাজতে ছিলেন যার সাথে তার কোনও সম্পর্ক ছিল না। এই ঘটনার পর, প্রকৃত অভিযুক্ত, ছোটের স্ত্রী মুন্নি নিখোঁজ ছিলেন।

চার দিন ধরে অন্যায়ভাবে আটক থাকার পর, পুলিশ তাদের ভুল বুঝতে পেরে মুন্নি দেবীকে মুক্তি দেয়। কোনও আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চাওয়া হয়নি। পরিবর্তে, তার পরিবারকে চুপ থাকতে এবং মিডিয়ার সাথে কথা না বলতে বলা হয়েছে বলে জানা গেছে।

 

?ref_src=twsrc%5Etfw">April 17, 2025

কারামুক্ত হয়ে মুন্নি দেবী নিজে জানিয়েছেন, তাঁদের গ্রামে মুন্নি নামে দু'জন মহিলা রয়েছেন। একজন হলেন তিনি নিজে, অন্যজন হলেন অভিযুক্ত ছোটের স্ত্রী। সেই জন্যই গুলিয়ে ফেলেছিল পুলিশ।

পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তদন্ত চলছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও লিখিত ক্ষমা বা ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দেওয়া হয়নি।