আজকাল ওয়েবডেস্ক: কুম্ভের মহাযজ্ঞে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন ওড়িশার  বাবা আর্তত্রাণা। এই সাধুর পায়ের স্পর্শে নাকি উধাও হয়ে যাচ্ছে মানুষের শরীরে র যাবতীয় রোগ, এমনকি ক্যানসারও! আর রোগ সারাতে বাবা আর্তত্রাণার কাছে এখন শয়ে শয়ে ভক্তের ভিড়। দিন-রাত লম্বা লাইন অন্য়ান্য সকল ভাইরাল হওয়া সাধুদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছে।

সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বাবা আর্তত্রাণা বলেছেন, "আমি ২০০৭ সাল থেকে এই ঐশ্বরিক চিকিৎসা করে আসছি। কিছু খাওয়ার বা পান করার দরকার নেই, এমনকি কোনও ওষুধও খেতে হবে না। কেবল আমার পায়ের স্পর্শেই সব রোগ সেরে যাবে।" বাবা আর্তত্রাণার দাবি দূরের ভক্তদের তাঁর কাছে আসতে হবে না। তাঁর উচ্চারিত মন্ত্র শুনলেও একই ফল হবে। তাঁর কথায়, "ফোনে কথা বলে বা ইউটিউবে আমার মন্ত্র শুনেই বিশাল বিশাল সবরোগ নিরাময় হয়। যদি কেউ দূরে থাকে, তবে তাঁরা ফোনে কথা বলে সুস্থ হয়ে যাবে। তাঁকে আমি মন্ত্র শোনালেই সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।" 

বাবা আর্তত্রানার দাবি, করোনা মহামারীর সময় তিনি কেবল তাঁর পায়ের স্পর্শেই লক্ষ লক্ষ মানুষকে সুস্থ করেছিলেন। বলেন, "করোনা আসার পর আমি আমাদের ওড়িশা সরকারকে চ্যালেঞ্জ করেছিলাম। আমি লক্ষ লক্ষ করোনা আক্রান্তকে সুস্থ করেছি।" 

শুধু ওড়িশা বা দেশের মধ্যেই নয়, রোগীদের সুস্থ করে তুলতে বিদেশেও গিয়েছেন বলে দাবি করেছেন বাবা আর্তত্রানা।

কোন শক্তি-বলে তাঁর পায়ের ছোঁয়ায় মানুষের রোগ নিরাময় হচ্ছে? বাবা আর্তত্রানা বলেছেন, "এটা ভগবান শিবের আশীর্বাদ। তাঁর আশীর্বাদে, আমি বড় বড় রোগও এক চুটকিতে নিরাময় করে দিতে পারি। আমি জানি না কেন ঈশ্বর আমাকে এই শক্তি দিয়েছেন। কিন্তু ঈশ্বরই আমাকে শক্তিশালী হতে শেখান।"

মহাকুম্ভ, গত ১৩ জানুয়ারি শুরু হয়েছিল, যা চলবে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। পরবর্তী শাহী স্নানের তারিখগুলি হল- ২৮ জানুয়ারি (মৌনী অমাবস্যা - দ্বিতীয় শাহী স্নান), ৩ ফেব্রুয়ারি (বসন্ত পঞ্চমী - তৃতীয় শাহী স্নান), ১২ ফেব্রুয়ারি (মাঘী পূর্ণিমা), এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি (মহা শিবরাত্রি)।