আজকাল ওয়েবডেস্ক: নজরকাড়া সাধুদের ভিড়ে জমজমাট প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভ। এঁদেরই অন্যতম আনাজ ওয়ালা বাবা। তাঁর আসল নাম অমরজিৎ। তাঁকে ঘিরেই আপাতত কুম্ভে আলোচনা তুঙ্গে। আনাজ ওয়ালা বাবা উত্তর প্রদেশের সোনভদ্র জেলার বাসিন্দা। এই সাধু নিজের মাথায় গম, বাজরা, ছোলা এবং মটর জাতীয় ফসল ফলান। গত পাঁচ বছর ধরে পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতা বৃদ্ধিতে এই অনন্য পদ্ধতি বেছে নিয়েছেন তিনি।

আনাজ ওয়ালে বাবা বলেন, "গাছ কাটা আমাদের বিশ্বকে কীভাবে প্রভাবিত করছে তা দেখে আমি এটা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি যেখানেই যাই, লোকজনকে সবুজ গাছ লাগাতে উৎসাহিত করি।"

'কাঁটাওয়ালা বাবা'
'কাঁটাওয়ালা বাবা' নামে পরিচিত বিহারের বাসিন্দা রমেশ কুমার মাঝি, তাঁর বিছানা এবং চাদর হিসাবে বাবলা কাঁটার উপর শুয়ে তপস্যা করেন। তাঁর অবিশ্বাস্য সাধনা দেখে মানুষ অবাক। কাঁটার খোঁচা কল্পনা করলেই মেরুদণ্ডে কাঁপুনি আসে, কিন্তু ওই সাধু দাবি করেন যে, তিনি কোনও ব্যথা অনুভব করেন না। চোখ বন্ধ করে ধ্যানের ভঙ্গিতে শুয়ে আছেন সাধু, হাতে একটি ডমরু, যেন তিনি অন্য এক জগতে রয়েছেন। অনেক ভক্ত তাঁর অটল বিশ্বাস এবং ধৈর্যের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর পা স্পর্শ করেছেন, সাধুও অকাতরে আশীর্বাদ দিয়ে চলেছেন। 

'মাসকুলার বাবা'
আত্মা প্রেম গিরি, ওরফে মাসকুলার বাবা রাশিয়ার বাসিন্দা। তবে বর্তমানে তিনি নেপালে বসবাস করেন। জানা গিয়েছে, এই মাসকুলার বাবা একসময় পাইলট বাবার শিষ্য ছিলেন। প্রায় ত্রিশ বছর আগে তিনি শিক্ষকের পেশা ত্যাগ করে হিন্দুধর্ম সম্পর্কে জানতে ভারত এবং নেপালে আসেন। পরবর্তীকালে সন্ন্যাস ধর্ম গ্রহণ করেন তিনি। জানা গিয়েছে, প্রয়াগরাজে মহা কুম্ভমেলায় তিনি এসেছেন ধর্মীয় আচার পালন করতে। মাসকুলার বাবাকে দেখে দেশ-বিদেশ থেকে আগত ভক্তরা তাঁর সঙ্গে দেখা করছেন।  

কাঁটাওয়ালে বাবার কঠোর তপস্যা যেখানে শারীরিক কষ্ট সহ্য করার অসাধারণ ক্ষমতার পরিচয় বহন করে, সেখানে 'মাসকুলার বাবা' -এর সরল জীবন ত্যাগ ও নিষ্ঠার মর্ম তুলে ধরে। ২০২৫ সালের মহাকুম্ভে, উভয়ই অটল বিশ্বাসের এক অসাধারণ এবং অনুপ্রেরণামূলক উদাহরণ উপস্থাপন করেছে।