আজকাল ওয়েবডেস্ক: ১০ বছর ধরে বিবাহিত জীবন। দুই সন্তানের জননী, এহেন এক মহিলাকে গোপনাঙ্গ-সহ সারা শরীরে গরম লোহার ছ্যাঁকা দিয়ে নির্মমভাবে মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগে উঠেছে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের। 

যদিও মহিলার পরিবার দাবি করেছে যে, বুলেট মোটরবাইক এবং একটি মহিষের যৌতুকের দাবি পূরণ না হওয়ায় তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা মেয়েকে নিয়মিত নির্যাতন করত। পুলিশ যৌতুক হত্যার মামলা দায়ের করেছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, ৩২ বছর বয়সী সঙ্গীতার ১০ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল আলিগড় জেলার বানুপুরা গ্রামের বাসিন্দা বান্টি কুমারের সঙ্গে। এই দম্পতির দু'টি ছোট ছেলে রয়েছে। মৃতা সঙ্গীতার মায়ের দায়বি, বিয়ের পর প্রায় এক বছর সবকিছু ঠিকঠাক ছিল।  তারপরে বান্টি এবং তাঁর পরিবার অতিরিক্ত যৌতুক হিসাবে একটি বুলেট মোটরবাইক এবং একটি মহিষ দাবি করতে শুরু করে। না দিতে পারায় বান্টি তাঁর স্ত্রীকে সঙ্গীতাকে নিয়মিত মারধর করত। তাঁর পরিবারের কাছ থেকে অতিরিক্ত জিনিসপত্র আনতে বলত। যদি সে সেসব না করে তবে স্ত্রীকে হত্যা করবে বলেও হুমকি দিত বান্টি। 

মঙ্গলবার বান্টি, তাঁর বাবা-মা এবং দুই বোন সঙ্গীতাকে মারধর শুরু করে। তাঁর শরীরে গরম লোহা চেপে নির্যাতন করে। একটি ভিডিওতে যৌনাঙ্গের কাছ-সহ শরীরের বিভিন্ন অংশে পোড়া দাগ দেখা যাচ্ছে। সঙ্গীতা ঘটনাস্থলেই মারা যান।

সার্কেল অফিসার (ছড়া) ধনঞ্জয় সিং বলেন, "আমাদের জানানোর পর, দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। যেহেতু ময়নাতদন্ত চূড়ান্ত হয়নি, তাই ভিসেরা সংরক্ষণ করা হয়েছে।"  এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে। বান্টি-সহ তাঁর পরিবারের পাঁচজনের বিরুদ্ধে বধূনির্যাতন ও হত্যার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। বান্টির পরিবার ঘটনার পর থেকেই পলাতক। বাড়ি তালাবন্ধ।