আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিহারে শোচনীয় পরাজয় ঘটেছে কংগ্রেসের। এরপরই ফের প্রস্নের মুখে বিরোদী ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্ব। সর্বভারতীয়স্তরে বড় শরিক হাত শিবিরের বদলে বিরোধী জোটের নেতৃত্ব দেওয়া উচিত অখিলেশ যাদবের। দাবি তুললেন সমাজবাদী পার্টির লখনউ সেন্ট্রালের বিধায়ক রবিদাস মেহরোত্রা।

২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের নিরিখে ইন্ডিয়া জোটের মেজ শরির সমাজবাদী পার্টি। ৩৭ জন সাংসদ রয়েছে অখিলেশের দলের। বিরোধী দলগুলির মধ্যে কংগ্রেসের পরেই লোকসভায় দ্বিতীয় বৃহত্তম দল সমাজবাদী পার্টি।

এই আবহে গাতের মুঠো আলগা হতেই ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্ব বদলের দাবি তুললেন রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠ অখিলেশ যাদবের দলের বিধায়ক

লখনউ সেন্ট্রালের বিধায়ক রবিদাস মেহরোত্রা বলেছেন যে, নির্বাচনইভিএমের বদলে ব্যালটে হলে ইন্ডিয়া জোট বিহারে সরকার গঠন করত। অখিলেশ যাদব বারবার ব্যালট ভোটিংয়ে ফিরে আসার জন্য চাপ দিচ্ছেন এবং ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কংগ্রেসের উপর চাপ বাড়াতে সমাজবাদী পার্টির বিধায়কের দাবি, "সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদবের ভারত জোটের নেতৃত্ব দেওয়া উচিত। সমাজবাদী পার্টি উত্তর প্রদেশে একা সরকার গঠন করতে সক্ষম।" 

দেশের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস, ২০২০ সালের বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে মাত্র ১৯টি আসন জিতেছিল, এবার হাল আরও খারাপ। ঝুলিতে এসেছে মাত্র ছয়'টি আসন। বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং দলের অন্যান্য শীর্ষ নেতারা নির্বাচনের আগে বিহারে বেশ কয়েকটি সমাবেশ করার পরেও দলের এই ভরাডুবি। মহাগঠবন্ধনের শরিক তথা কংগ্রেসের 'বন্ধু', আরজেডি ২৫টি আসন জিতেছে। ২০২০ সালের চেয়ে আসন সংখ্যা ৫০টি কম। এনডিএ বিহারে বিশাল জয় পেয়েছে, ২৪৩ সদস্যের বিধানসভায় ২০২টি আসন জিতেছে।

২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ৯৯টি আসন জিতেছিল প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। তবে তার পর থেকে একের পর এক নির্বাচনে খারাপ ফল হচ্ছে হাত শিবিরের। গত বছর অনুষ্ঠিত আটটি বিধানসভা নির্বাচনের মধ্যে বিজেপি এবং তার মিত্ররা ছয়'টিতে জয়লাভ করেছে, যার মধ্যে হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনও রয়েছে।

এর আগে, তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ কল্যাণ ব্যানার্জি পরামর্শ দিয়েছিলেন যে, দলীয় প্রধান এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্ব দেওয়া উচিত। খোদ মমতা ব্যানার্জি বলেছিলেন, "ইন্ডিয়া জোটে, কে নেতা? কাউকে নেতা হিসেবে, বিরোধী দলের মুখ হিসেবে নির্বাচিত করা হয়নি। এখন এটা করতে হবে। কংগ্রেস ব্যর্থ হয়েছে; এটা প্রমাণিত। কংগ্রেস নেতারা হরিয়ানায় চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছেন। মহারাষ্ট্রে, তারা ব্যর্থ হয়েছেন। আমরা কংগ্রেসের উপর বিশ্বাস রেখেছিলাম, কিন্তু তারা সাফল্য পায়নি।" 

মজার বিষয় হল, সেই সময়ে আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ যাদবও ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্ব হিসাবে তৃণমূল সুপ্রিমোর পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। কংগ্রেস নেতাদের মধ্যে মমতা ব্যানার্জিকে নেতা হিসেবে গ্রহণ করা হবে কিনা তা নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে, আরজেডি প্রতিষ্ঠাতা গত বছর বলেছিলেন, "তাকে (মমতা ব্যানার্জি) ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্ব দেওয়ার অনুমতি দেওয়া উচিত।"