আজকাল ওয়েবডেস্ক: ২৭ বছর দেখা নেই। আচমকা একদিন বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। আর ফেরেননি। সেই ব্যক্তিরই দেখা মিলল প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভে। মিলেছে কয়েকটি চিহ্নও। নিখোঁজ সেই ব্যক্তিই এখন অঘোরী সাধু। তাঁর মুখোমুখি হতেই আবেগপ্রবণ স্ত্রী ও পরিবার। কান্নায় ভেঙেও পড়লেন তাঁরা।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ১৯৯৮ সালে পাটনা যাওয়ার পথে হঠাৎ নিখোঁজ হন গঙ্গাসাগর যাদব। তাঁর স্ত্রী, দুই সন্তান রয়েছে। তাঁদের ছেড়েই গায়েব হয়ে যান। ২৭ বছর ধরে খোঁজাখুঁজি করা হয়। কিন্তু তাঁর খোঁজ মেলেনি। আশাও ছেড়ে দিয়েছিলেন সকলে। পরিবারের দাবি, গঙ্গাসাগরের দেখা পাওয়া গিয়েছে মহাকুম্ভে। তিনি এখন ৬৫ বছর বয়সি এক অঘোরী সাধু। বাবা রাজকুমার নামেই তিনি পরিচিত।
পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, সম্প্রতি এক আত্মীয় মহাকুম্ভে গিয়েছিলেন। বাবা রাজকুমারকে দেখেই চমকে ওঠেন তিনি। গঙ্গাসাগরের সঙ্গে হুবহু তাঁর চেহারার মিল রয়েছে। বাবা রাজকুমারের ছবি তুলে স্ত্রীকে পাঠান তিনি। সেই ছবি দেখেই সন্তানদের নিয়ে স্ত্রী ও পরিবারের লোকজন মহাকুম্ভে ছুটে আসেন।
গঙ্গাসাগরের স্ত্রী জানিয়েছেন, স্বামীর মতোই বড় দাঁত, কপালে কাটা দাগ, হাঁটুতে দাগ রয়েছে বাবা রাজকুমারের। তিনি নিশ্চিত, বাবা রাজকুমারই আসলে গঙ্গাসাগর। যদিও এই দাবি অস্বীকার করেছেন বাবা রাজকুমার। কিন্তু পরিবারের তরফে পুলিশের কাছে আর্জি জানানো হয়েছে, ডিএনএ পরীক্ষা করানো হোক। মেলার পর ডিএনএ পরীক্ষার পরেই জানা যাবে সত্যিটা। যদি ডিএনএ পরীক্ষার পর দেখা যায়, বাবা রাজকুমার গঙ্গাসাগর নন, তবে তাঁর কাছে ক্ষমা চাইবেন তাঁরা।
