আজকাল ওয়েবডেস্ক: ১৪.২ কেজি সোনা পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া অভিনেত্রী রণ্যা রাও সম্প্রতি রাজস্ব গোয়েন্দা দপ্তরের (ডিআরআই) অতিরিক্ত মহাপরিচালককে একটি চিঠি লিখে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন। ৬ মার্চের ওই চিঠিতে রানিয়া দাবি করেছেন, তাঁকে জোর করে কাগজে সই করানো হয়েছে এবং শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে।

 রাও অভিযোগ করেন, তাঁকে ১০-১৫ বার চড় মারা হয়েছে এবং বারবার মুখে থাপ্পড় দেওয়া হয়েছে, কারণ তিনি ডিআরআই কর্মকর্তাদের তৈরি করা নথিতে সই করতে অস্বীকার করেছিলেন। তিনি আরও দাবি করেন, তিনি নির্দোষ এবং তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। রণ্যা বলেন, তিনি সেই কর্মকর্তাদের চিনতে পারবেন যারা তাঁকে মেরেছে।

চিঠিতে তাঁর আরও অভিযোগ, তাঁকে খাবার দেওয়া হয়নি এবং তাঁর বাবার নাম প্রকাশ করার হুমকি দেওয়া হয়েছে, যদিও তাঁর বাবা কোনোভাবেই এই ঘটনায় জড়িত ছিলেন না। রণ্যা জানান, তিনি প্রায় ৫০-৬০টি টাইপ করা পৃষ্ঠায় এবং প্রায় ৪০টি খালি পৃষ্ঠায় জোর করে সই করেছেন। তিনি দাবি করেন, “আমি মারধরের ভয়ে ও চাপে পড়ে ডিআরআই কর্মকর্তাদের নির্দেশে এসব কাগজে সই করেছি।”

রাও কর্ণাটক পুলিশের বর্তমান ডিজিপি কে রামচন্দ্র রাওয়ের সৎকন্যা।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে যে তাঁকে বিমানবন্দর টার্মিনাল থেকে নয়, বরং সরাসরি বিমানের ভিতর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, যা ডিআরআই-এর নথিতে ভুলভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। রণ্যা জানান, “আমাকে বিমানের ভিতর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং আদালতে হাজির করার আগ পর্যন্ত আমাকে একাধিকবার মারধর করা হয়েছে, বিশেষ করে ১০-১৫ বার মুখে থাপ্পড় মারা হয়েছে।”

তিনি আরও দাবি করেন, সমস্ত নথি তাঁর কাছ থেকে জোর করে স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে এবং ডিআরআই যে গল্পটি প্রকাশ করেছে তা প্রকৃত ঘটনার থেকে আলাদা। তিনি বলেন, “যেমনটা বলা হচ্ছে, তা করা হয়নি, আমার দেহ তল্লাশি করা হয়নি এবং আমার কাছ থেকে কিছু উদ্ধারও করা হয়নি। দিল্লি থেকে আসা কিছু লোক আমাকে অন্য যাত্রীদের বাঁচাতে সতর্ক করে এবং আমাকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসায়।”

এই চিঠিটি বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে, কারণ এর একদিন আগেই বেঙ্গালুরুর বিশেষ আদালত রণ্যার জামিন আবেদন খারিজ করেছে। সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে তাঁর একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে, যেখানে তাঁর চোখ ফুলে যাওয়া দেখা যাচ্ছে, যা হেফাজতে নির্যাতনের জল্পনা উসকে দিয়েছে।