আজকাল ওয়েবডেস্ক: তিন পুত্র সন্তান। কিন্তু, কেউ দেখেন না বাবাকে। তাই রাস্তার ধারে কোনওমতে চায়ের দোকান চালিয়ে জীবনধারণ করছেন ৮৮ বছরের বৃদ্ধ। বন্ধ বার্ধক্যভাতা। নিজের জীবন সংগ্রামের কথা বলতে গিয়ে চোখ থেকে জল গড়াতে থাকে তাঁর। 

বিহারের সমস্তিপুর জেলার ভাউয়া গ্রামের বাসিন্দা ৮৮ বছর বয়সী রামানন্দ শর্মার কাহিনী শুনলে সত্যিই চোখ অশ্রুসিক্ত হতে পারে। 
রামানন্দ শর্মার তিন ছেলে। তাঁদের লালন-পালনের জন্য নিজের পুরো জীবন উৎসর্গ করেছেন। অমনকি নাতি-নাতনিদেরও দেখভাল করেছেন তিনি। কিন্তু, শরীরের তেজ কমতেই মুখ ফিরিয়েছেন নিজের লোকেরাই। নিজের ছেলেরাই বৃদ্ধকে তাড়িয়ে দিয়েছেন। কোনও আর্থিক সহায়তা করেন না। গত ১২ বছর ধরে বৃদ্ধ রামানন্দ বার্ধক্যভাতা পান না। বার বার আবেদনেও সুরাহা মেলেনি। শেষমেষ তাই জীবন চালাতে হাসপাতালের বাইরে ছোট্ট জায়গায় চায়ের দোকান বসিয়েছেন বৃদ্ধ।

কেমন এমন হল? জিজ্ঞেস করতেই রামানন্দের চোখে জল। বললেন, "আমার তিন ছেলে আছে, কিন্তু তাঁরা আমার কোনও কাজে আসে না। তাঁরা আমাকে টাকা দেয় না, আমার যত্নও নেয় না। আমাকে রাস্তায় চা বিক্রি করতে বাধ্য করা হয়।"

বৃদ্ধের তিন ছেলের নাম অখিলেশ, পবন এবং পঙ্কজষ এঁরা তিন জনই আলাদা থাকেন। এঁদের মধ্যে দু'জন গ্রামে শ্রমিকের কাজ এবং একজন বিদেশে ছুকোর মিস্ত্রির কাজ করেন। 

রামানন্দ শর্মা জানান যে, স্টলে প্রতিদিন চা বিক্রি করে তিনি মাত্র ১০০ থেকে ১৫০ টাকা আয় করেন। সেই দিয়েই তাঁর জীবন চলে।