ভয়াবহ! মাংসোখেকো পরজীবী? আমেরিকায় এতদিন পর্যন্ত যে পরজীবীর নাম শোনা যায়নি, সেই ভয়ংকর 'নিউ ওয়ার্ল্ড স্ক্রুওয়ার্ম'-এর প্রথম মানবদেহে সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছে। এই খবর সামনে আসতেই দেশে চরম চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। যদিও স্বাস্থ্য আধিকারিকরা বলছেন, সাধারণ মানুষের চিন্তার কারণ নেই।
2
7
১) কী এই পরজীবী? এটি এক ধরনের মাছির লার্ভা, যার নাম 'স্ক্রুওয়ার্ম'। এদের স্বভাব হলো উষ্ণ রক্তের জীব, যেমন মানুষ বা কোনও গবাদি পশুর জীবন্ত মাংস খাওয়া। তাই এদের 'মাংসখেকো' বলা হয়।
3
7
২) সংক্রমণ ঘটল কীভাবে? জানা গিয়েছে, মেরিল্যান্ডের এক বাসিন্দার শরীরে এটি পাওয়া গিয়েছে। তিনি সম্প্রতি এল সালভাদর (মধ্য আমেরিকার একটি দেশ) থেকে ফিরেছিলেন। মূলত বিদেশ ভ্রমণ থেকেই এই সংক্রমণ আমেরিকায় এসেছে।
4
7
৩) কেন এত মারাত্মক? এই মাছির লার্ভাগুলি ক্ষতস্থানে ডিম পাড়ে। ডিম ফুটে লার্ভা বের হলে তারা স্ক্রুর মতো পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে মাংসের গভীরে ঢুকে যায় এবং সেই জীবন্ত টিস্যু খেতে শুরু করে। সময়মতো চিকিৎসা না হলে এটি খুব খারাপ বিপদ ডেকে আনতে পারে।
5
7
৪) মানুষ কেন আক্রান্ত হয়? সাধারণত গবাদি পশুদের মধ্যেই এই রোগ বেশি দেখা যায়। তবে খোলা ক্ষত বা দেহের প্রাকৃতিক ছিদ্রপথে (যেমন নাক, মুখ) মাছি ডিম পাড়লে মানুষও আক্রান্ত হতে পারে। মানুষের ক্ষেত্রে এই ঘটনা খুবই বিরল।
6
7
৫) মার্কিন স্বাস্থ্য দপ্তর ও রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আক্রান্ত ব্যক্তি বর্তমানে চিকিৎসা পেয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এই সংক্রমণ অন্য কারও বা পশুর মধ্যে ছড়ায়নি। তাই সাধারণ মানুষের জন্য এখন ঝুঁকির মাত্রা খুব কম।
7
7
৬) এই পরজীবী আগে আমেরিকায় ছিল। পরে নির্মূল করা হয়েছিল। এটি যাতে আবার ছড়িয়ে না পড়ে, তার জন্য সীমান্তে কঠোর নজরদারি শুরু হয়েছে। এছাড়াও, এই মাছির প্রজনন বন্ধ করতে বিশেষ পদ্ধতিতে জীবাণুমুক্ত পুরুষ মাছি তৈরি করে পরিবেশে ছাড়া হবে, যাতে নতুন করে সংক্রমণ না ছড়ায়।