আজকাল ওয়েবডেস্ক: জ্যেঠুর যৌন লালসার শিকার সদ্যোজাত ভাইঝি। খেলাধুলার অজুহাতে ফাঁকা ঘরে সদ্যোজাতকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। ঘটনার সময় অভিযুক্ত যুবক মত্ত অবস্থায় ছিলেন বলে জানা গেছে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের মোরেনা জেলায়। পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার মত্ত অবস্থায় তিন মাসের ভাইঝিকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ৩০ বছরের যুবকের বিরুদ্ধে। অত্যন্ত সঙ্কটজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ওই সদ্যোজাত কন্যা। পাশাপাশি গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্ত যুবককে।
পুলিশ আধিকারিক সুরেন্দ্র প্রতাপ সিং জানিয়েছেন, অভিযুক্ত যুবক সম্পর্কে নির্যাতিতার জ্যেঠু হন। নির্যাতিতার বাবার তুতো দাদা ওই যুবক। দুই পরিবার এক বাড়িতেই থাকে। স্টেশন রোড থানার অন্তর্গত একটি এলাকায় তাঁদের বাড়ি।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মত্ত অবস্থায় ছিলেন অভিযুক্ত যুবক। তিন মাসের সদ্যোজাত ভাইঝির সঙ্গে খেলাধুলার অজুহাতে তাকে ফাঁকা ঘরে নিয়ে যান। সেখানেই সদ্যোজাত ভাইঝিকে ধর্ষণ করেন যুবক। সদ্যোজাতর কান্নাকাটির পরেই বিষয়টি টের পান বাড়ির লোকজন।
পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এরপর গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁকে। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার এবং পকসো ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
চলতি বছর এপ্রিল মাসেই এমন আরেকটি ঘটনা ঘটেছিল। বিয়েবাড়িতে হইহুল্লোড়ে মেতেছিলেন সকলে। আচমকাই অনেকের কানে ভেসে আসে এক নাবালিকার চিৎকার। তড়িঘড়ি সকলে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। নাবালিকাকে উদ্ধারের পরেই, ভয়ঙ্কর অত্যাচারের বর্ণনা শুনে আঁতকে উঠেছিলেন তাঁরা। বিয়েবাড়ির মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছিল আট বছরের এক নাবালিকা।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছিল উত্তরপ্রদেশের বরেলিতে। পুলিশ জানিয়েছে, বিসারতগঞ্জ থানার অন্তর্গত এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। ২৪ এপ্রিল ওই এলাকারই একটি বিয়েবাড়িতে আটবছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে সোমবার ৪৭ বছরের অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমানে অভিযুক্ত জেল হেফাজতে রয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, সেদিন পরিবারের সঙ্গে এক আত্মীয়ের বিয়েতে এসেছিল নাবালিকা। খাবারের লোভ দেখিয়ে ভিড়ের মধ্যে থেকে নাবালিকাকে ফাঁকা ঘরে নিয়ে যান অভিযুক্ত। সেখানেই তাকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যান। নাবালিকার চিৎকার শুনে ছুটে আসে পরিবার। এরপরই ধর্ষণের ঘটনাটি জানতে পারে। সেদিন রাতে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিতার পরিবার।
অভিযোগের ভিত্তিতে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ। এরপর অভিযুক্তকে সেই এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। জেরায় নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনাটি স্বীকার করে নেন অভিযুক্ত।
