আজকাল ওয়েবডেস্ক: পছন্দের মানুষকে তড়িঘড়ি বিয়ে করার ইচ্ছে ছিল। প্রেমের সম্পর্কের পরিণতি চেয়েছিলেন শীঘ্রই। কিন্তু পরিবার রাজি ছিল না। আরও বছর দুই অপেক্ষা করার পরামর্শ দেয়। তাতেই বাড়ে মানসিক চাপ, অস্থিরতা। সহ্য করতে না পেরে ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটালেন এক তরুণ। বিয়ের তাড়ায় ১৯ বছর বয়সে আত্মঘাতী হলেন তিনি।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের থানে জেলায়। মঙ্গলবার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১৯ বছর বয়সি এক তরুণ বিয়ের তাড়ায় আত্মঘাতী হয়েছেন। পরিবারের তরফে ১৯ বছর বয়সে বিয়ের জন্য আপত্তি জানিয়েছিল। আরও দু'বছর অপেক্ষা করতে বলেছিল তাঁকে। ২১ বছর হলেই বিয়ের কথা বলেছিল পরিবার। দু'বছর বিয়ে পিছিয়ে যেতেই আত্মঘাতী হন তিনি।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে ৩০ নভেম্বর দম্বিভলি এলাকায়। তরুণ আদতে ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা ছিলেন। ওই এলাকারই এক তরুণীর প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছিলেন। তাঁকেই বিয়ের ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন। পরিবারকে সে কথাও জানান। কিন্তু পরিবারের তরফে জানানো হয়, আইন অনুযায়ী ২১ বছর না হলে তিনি বিয়ে করতে পারবেন না। তাই আরও দু'বছর অপেক্ষা করার কথা জানান।
সোমবার মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে ঘরেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন তরুণ। তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
চলতি মাসেই এই রাজ্যে আরও এক ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছিল। টাকার লোভ। মেয়ের পড়াশোনা থামিয়ে, কাজে যোগ দেওয়ার জন্য জোরাজুরি। তবে যে সে কাজ নয়, রীতিমতো যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করার জন্য মেয়েকে জোরজবরদস্তি করার অভিযোগ উঠল মায়ের বিরুদ্ধে। প্রতিবেশী যুবকের বুদ্ধিতে মেয়েকে যৌনকর্মী বানাতে উঠেপড়ে লেগেছিলেন মা। অবশেষে পুলিশি হেফাজতে ঠাঁই হল।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের মুম্বইয়ে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, টাকার জন্য ১৬ বছরের কিশোরীকে যৌনকর্মী হতে জোরাজুরির অভিযোগ উঠেছে তার মা ও এক প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। কিশোরী দশম শ্রেণির ছাত্রী। তার অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, থানায় অভিযোগটি দায়ের করে ওই ছাত্রীর স্কুলের এক শিক্ষক। কিশোরীর বয়ান অনুযায়ী, চলতি বছর এপ্রিল মাস থেকে এখনও পর্যন্ত শুধুমাত্র টাকার জন্য তাকে যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করার জন্য জোরজবরদস্তি করতেন মা ও এক প্রতিবেশী যুবক। দিনের পর দিন এহেন নির্যাতনের শিকার হয়ে, অবশেষে এক সহপাঠীকে সঙ্গে নিয়ে স্কুলের এক শিক্ষকের কাছে বিষয়টি ফাঁস করে সে।
কিশোরী আরও জানিয়েছে, বাড়িতে নির্যাতনের কারণে একবার পালিয়ে গিয়ে বন্ধুর বাড়িতে তিনদিন লুকিয়ে ছিল সে। এরপর আবারও বাড়ি ফেরার পর সেই এক হেনস্থার সম্মুখীন হতে হয় তাকে। এরপরই থানায় তড়িঘড়ি অভিযোগ দায়ের করেন ওই শিক্ষক। অভিযোগের ভিত্তিতে ও কিশোরীর বয়ান অনুযায়ী অভিযুক্ত মা ও প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ও পকসো ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। দু'জনকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
