আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রেমের সম্পর্কে থাকাকালীন বন্ধুর সঙ্গে ঘোরাঘুরি। তা ঘিরে অশান্তি। রাগের মাথায় মাত্র ২০ বছর বয়সেই চরম পদক্ষেপ করল এক তরুণ। প্রিয়জনের জীবন শেষ করে দিল সে! তাও জনসমক্ষে। নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পরেই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় সে। তার খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।
ভরসন্ধ্যায় ভরা মার্কেটেই ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ডটি ঘটে। সেদিন এক বন্ধুর সঙ্গে মার্কেটে গিয়েছিল এক ১৫ বছরের কিশোরী। সেই সময়েই বন্ধুর সামনে কিশোরীর সামনে গিয়ে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় তরুণ। সকলের চোখের সামনেই কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় সে। পরপর গুলির আওয়াজে শোরগোল পড়ে যায় মার্কেটে।
তড়িঘড়ি করে কিশোরীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়েও যাওয়া হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। হাসপাতালে যাওয়ার পথেই কিশোরীর মৃত্যু হয়। জানা গেছে, বাড়ির কাছেই ছিল ওই মার্কেট। বাড়ির অদূরে কিশোরীর এহেন মর্মান্তিক পরিণতিতে শিউরে উঠেছেন স্থানীয়রা। পরিবারেও শোকের ছায়া। গোটা ঘটনায় স্তম্ভিত এলাকাবাসী। ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লিতে। পুলিশ জানিয়েছে, নর্থ ওয়েস্ট দিল্লির জাহাঙ্গীরপুরী এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। সোমবার সন্ধ্যায় ১৫ বছরের এক কিশোরীকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গুলি করার অভিযোগ কিশোরীর প্রেমিকের বিরুদ্ধে। সেদিন এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল ও কিশোরী।
পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার এক বন্ধুর সঙ্গে মার্কেটে গিয়েছিল ওই কিশোরী। মৃত কিশোরী জাহাঙ্গীরপুরীর বাসিন্দা ছিলেন। ডি ব্লকের ড. কে কে মহাজনের ক্লিনিকের সামনেই কিশোরীকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি করে অভিযুক্ত তরুণ। রাত ৮টা বেজে ১০ মিনিট নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। কমপক্ষে চার রাউন্ড গুলি ছোড়ে সে।
গুলিবিদ্ধ কিশোরীকে রক্তাক্ত অবস্থায় তড়িঘড়ি করে বিজেআরএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরীর দেহটি হাসপাতালেই রাখা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত তরুণের নাম, আরিয়ান। ২০ বছরের তরুণ জাহাঙ্গীরপুরীর বাসিন্দা।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, কিশোরীর সঙ্গে আরিয়ানের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তবে তা নিয়েও ধোঁয়াশায় রয়েছে পুলিশ। জানা গেছে, গতকাল কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে সেই মার্কেটেই গিয়েছিল আরিয়ান। কিশোরীর কাছাকাছি পৌঁছেই এলোপাথাড়ি গুলি করে সে। জাহাঙ্গীরপুরী থানায় পুলিশ এই ঘটনায় একটি মামলা রুজু করেছে।
কিশোরীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর পরেই বন্ধুদের নিয়ে আরিয়ান পালিয়ে যায়। অভিযুক্ত তরুণ ও তার বন্ধুদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। এলাকার বিভিন্ন দোকান ও ক্লিনিকের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কিশোরীর সঙ্গে যে বন্ধু ও আরও কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীকে ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে তারা।
পুলিশ জানিয়েছে, কিশোরীর মা পরিচারিকার কাজ করেন। তার বাবা কর্মসূত্রে উত্তরপ্রদেশের মোরাবাদে থাকেন। বাড়ির অদূরেই ওই মার্কেটে। সেখানে কিশোরীর মর্মান্তিক পরিণতি হল। ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া। ঘটনার নেপথ্যে কী কারণ ছিল তাও খতিয়ে দেখছে। অভিযুক্ত তরুণের খোঁজে তল্লাশি অভিযানের পাশাপাশি, খুনের কারণ ঘিরেও চালাচ্ছে পুলিশ।
