আজকাল ওয়েবডেস্ক: স্কুলের মধ্যে চরম হেনস্থার শিকার অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্র। পুরুষাঙ্গে আঘাত করে, অণ্ডকোষ চেপে ধরে তাকে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে তিন সহপাঠীর বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ওই পড়ুয়া। তার অস্ত্রোপচার করা হবে শীঘ্রই।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে মহীশূরে। স্কুলের মধ্যে চরম হেনস্থার শিকার হয়েছে ১৩ বছরের এক ছাত্র। সহপাঠীদের দ্বারাই হেনস্থার শিকার হয়েছে সে। স্কুল প্রাঙ্গণেই শারীরিক নির্যাতনের শিকার ওই পড়ুয়া। হেনস্থার মাঝেই নাবালক পড়ুয়ার অণ্ডকোষ চেপে ধরে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে তিন সহপাঠীর বিরুদ্ধে। বর্তমানে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ওই পড়ুয়া। তার অস্ত্রোপচার করা হবে বলেই জানা গেছে।
আহত পড়ুয়ার পরিবার পুলিশকে জানিয়েছে, গত কয়েক বছর ধরেই অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়া স্কুলে হেনস্থার শিকার হচ্ছিল। অভিযুক্ত সহপাঠীরা পড়ুয়াকে স্কুলের মধ্যেই মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা নিয়ে আসার জন্য জোরাজুরি করতে। কখনও কখনও হুমকিও দিত। স্কুলে নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে এলেই, সেগুলো ছিনতাই করার পরিকল্পনা ছিল অভিযুক্তদের।
গত ২৫ অক্টোবর এই হেনস্থাই চরম পর্যায়ে পৌঁছয়। পড়ুয়াকে ওই তিন সহপাঠী টেনে হিঁচড়ে শৌচালয়ে নিয়ে যায়। সেখানেই পুরুষাঙ্গে একাধিকবার আঘাত করে, অণ্ডকোষ চেপে ধরেই নির্যাতন করে তাকে। সেদিন তড়িঘড়ি করে পড়ুয়াকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানান, পড়ুয়ার পুরুষাঙ্গে গুরুতর চোট রয়েছে। অস্ত্রোপচার করতে হবে।
পড়ুয়ার পরিবারের আরও অভিযোগ, পুলিশ এই ঘটনার পরেও অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেছিল। বিক্ষোভ দেখাতেই অবশেষে তিন পড়ুয়ার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে। তিনজনকেই আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। আহত পড়ুয়া পুলিশকে জানিয়েছে, চতুর্থ শ্রেণি থেকেই সে হেনস্থার শিকার স্কুলের মধ্যে। স্কুলের শিক্ষক ও প্রিন্সিপালকে অভিযোগ জানানোর পরেও কোনও পদক্ষেপ করা হত না। যে কারণে দিনের পর দিন হেনস্থা আরও চরমে পৌঁছত।
প্রসঙ্গত, গত অক্টোবরে আরও এক ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছিল। সহপাঠীর বাড়িতে পড়া বুঝতে গিয়েছিল ১৪ বছরের কিশোরী। সেদিন যা ঘটেছিল, তা জান গেল তিন মাস পর। পেটের অসহ্য যন্ত্রণায় ছটফট করছিল সে। বমিবমি ভাব। প্রথমে পরিবারের সকলে ভেবেছিলেন, পেটের অসুখে ভুগছে সে। চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতেই চক্ষু চড়কগাছ সকলের। অবশেষে তিন মাস পর সত্যিটা এল প্রকাশ্যে।
জানা গেছে, পড়া বোঝানোর অজুহাতে বাড়িতে কিশোরীকে ডেকেছিল তার সহপাঠী। ফাঁকা বাড়িতে প্রথমে পড়াশোনাই করছিল দু'জনে মিলে। আচমকা কিশোরীকে যৌন হেনস্থা করতে শুরু করে ১৪ বছরের কিশোর। সেদিনই পরিবারের অনুপস্থিতিতে কিশোরীকে ধর্ষণ করে সে। ভয়ে, আতঙ্কে, লজ্জায় গোটা বিষয়টিই লুকিয়ে রেখেছিল কিশোরী। তিন মাস পর জানা গেল, সে অন্তঃসত্ত্বা।
শনিবার পুলিশ জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার কিশোরীর পরিবারের তরফে ১৪ বছরের কিশোরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মেডিক্যাল টেস্টের পর জানা গেছে, কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের থানে জেলায়। ভিওয়ান্দি শহরের বাসিন্দা নির্যাতিতা ও অভিযুক্ত কিশোর। এক স্কুলের সহপাঠী ছিল তারা। গত মে মাসে ঘটনাটি ঘটেছে। পড়া বোঝানোর অজুহাতে কিশোরীকে বাড়িতে ডেকেছিল অভিযুক্ত। ফাঁকা বাড়িতে তাকে ধর্ষণ করে সে।
এদিকে পরিবারের কারও কোনও সন্দেহ হয়নি কিশোরকে নিয়ে। সহপাঠী ছিল বলে, সন্দেহের তালিকায় সে ছিল না। গর্ভবতী হওয়ার খবরটি ফাঁস হতেই কিশোরীকে পরিবারকে জানায়। বৃহস্পতিবার থানায় গিয়ে অভিযুক্ত কিশোরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে তার পরিবার। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় এবং পকসো ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ঘটনাটির তদন্ত জারি রয়েছে।
