আজকাল ওয়েবডেস্ক: কিডনি স্টোন বা কিডনিতে পাথর হল এক ধরনের কঠিন বর্জ্য পদার্থ, যা কিডনির ভিতরে তৈরি হয়। বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলে ‘রেনাল ক্যালকুলি’। এই পাথর ছোট বালির দানার মতো থেকে শুরু করে গলফ বলের মতো বড়ও হতে পারে। প্রস্রাবের মধ্যে খনিজ পদার্থ এবং লবণের ঘনত্ব বেড়ে গেলে কিডনিতে পাথর তৈরি হয়।

পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান না করলে প্রস্রাব ঘন হয়ে যায়, যা খনিজ এবং লবণের ঘনত্ব বাড়িয়ে তোলে। অতিরিক্ত লবণ, চিনি, রেড মিট এবং অক্সালেট সমৃদ্ধ খাবার খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।


তাই সময় থাকতে সতর্ক হওয়া জরুরি। কিডনিতে পাথর বা কিডনি স্টোন হলে সাধারণত নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি দেখা দিতে পারে:

১. তীব্র ব্যথা:
 * কিডনিতে পাথরের কারণে সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ তীব্র ব্যথা। এই ব্যথা সাধারণত পিঠের নিচের দিকে, পাঁজর বা পেটের পাশে অনুভূত হয়।
 * ব্যথাটি তীব্র হতে পারে এবং কয়েক মিনিট থেকে কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।

২. প্রস্রাবে পরিবর্তন:
 * কিডনিতে পাথর হলে প্রস্রাবের রঙ পরিবর্তন হতে পারে। প্রস্রাবে রক্ত দেখা যেতে পারে, যা প্রস্রাবকে গোলাপী, লাল বা বাদামী করে তুলতে পারে।
 * প্রস্রাবে দুর্গন্ধ বা ঘোলাটে ভাব দেখা দিতে পারে।
 * প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া বা ঘন ঘন প্রস্রাবের চাপ অনুভব করাও কিডনিতে পাথরের লক্ষণ হতে পারে।

৩. বমি বমি ভাব এবং বমি:
 * তীব্র ব্যথার কারণে বমি বমি ভাব এবং বমি হতে পারে।

৪. প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া বা ব্যথা:
 * কিডনিতে পাথর মূত্রনালীতে আটকে গেলে প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া হয়। সঙ্গে ব্যথা অনুভূত হতে পারে।

৫. জ্বর এবং কাঁপুনি:
 * যদি কিডনিতে পাথরের কারণে সংক্রমণ হয়, তবে জ্বর এবং কাঁপুনি হতে পারে।
এই লক্ষণগুলির মধ্যে কোনও একটি দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।