আজকাল ওয়েবডেস্ক: গরমকালে পুরুষদের জন্য নতুন এক সমস্যার কথা সামনে এসেছে, যার নাম দেওয়া হয়েছে “Summer Long Balls”। এতে অণ্ডকোষ স্বাভাবিকের চেয়ে নিচে ঝুলে যায় এবং নানা অস্বস্তি তৈরি করে। অনেক পুরুষ জানিয়েছেন, গরমে অণ্ডকোষ এতটাই ঝুলে যায় যে টয়লেটে বসলে তা জলে ছুঁয়ে যায়। আবার ঘামের কারণে অণ্ডকোষের চামড়া উরুর সঙ্গে আটকে গিয়ে বিরক্তিকর অবস্থা তৈরি করে, ফলে অনেক সময় জনসমক্ষে গোপন অঙ্গ ঠিক করার প্রয়োজন হয়, যা লজ্জার কারণ হয়। চিকিৎসকরা বলছেন, আসলে গরমে অণ্ডকোষ বড় হয় না, বরং শরীর থেকে দূরে সরে যায়। ঠান্ডায় তা শরীরের দিকে উঠে আসে। বিশেষ করে যাদের Varicocele সমস্যা আছে, অর্থাৎ অণ্ডকোষের শিরা-উপশিরা ফেঁপে থাকে, তাদের ক্ষেত্রে এই ঝুলে পড়া বেশি হয়। প্রায় ১৫ শতাংশ পুরুষ এই সমস্যায় ভোগেন। সাধারণত ক্ষতিকর না হলেও এটি প্রজনন ক্ষমতায় প্রভাব ফেলতে পারে। প্রয়োজনে ছোট অস্ত্রোপচারে এর সমাধান সম্ভব।
আরও পড়ুন: তুঙ্গ যৌন সুখের মোহে এই ওষুধ সেবন করছেন? হার্ট অ্যাটাকে মারা পড়বেন! এখনই সাবধান হন
চিকিৎসকরা আরও বলছেন, এই অস্বস্তি এড়াতে আঁটসাঁট অন্তর্বাস পরা, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে থাকা এবং প্রয়োজনে বরফের প্যাক ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে আশার কথা হলো, গরম কমলেই সমস্যা স্বাভাবিক হয়ে যায়। শীতকালে আর এ ধরনের ঝামেলা থাকে না। গরমকালে অণ্ডকোষ ঝুলে পড়ার এই সমস্যা বা তথাকথিত “লং বলস” নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি মূলত শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের অংশ। অণ্ডকোষে শুক্রাণু তৈরি হয় এবং তা সঠিকভাবে তৈরি হওয়ার জন্য শরীরের চেয়ে সামান্য ঠান্ডা তাপমাত্রা দরকার হয়। এজন্য শরীরের ভেতরে নয়, অণ্ডকোষ থাকে বাইরের ঝুলন্ত থলিতে। গরমে শরীর তাপ কমানোর জন্য অণ্ডকোষকে দূরে সরিয়ে দেয়, যাতে ভেতরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই স্বাভাবিক পরিস্থিতিতেও ঝুলে পড়া একটি জৈবিক প্রক্রিয়া। তবে যাদের varicocele রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে এটি আরও প্রকট হয়।
এমনকি দীর্ঘ সময় ধরে অতিরিক্ত তাপ বা অস্বস্তি শুক্রাণুর মান কমাতে পারে বলে গবেষণায় জানা গেছে। এজন্য ডাক্তাররা সতর্ক করে দেন যে গরমে খুব টাইট প্যান্ট, দীর্ঘ সময় বাইরের গরম পরিবেশে থাকা বা সাইক্লিংয়ের মতো কাজ করলে অণ্ডকোষে চাপ ও উত্তাপ বেড়ে যায়, যা ভবিষ্যতে প্রজনন ক্ষমতায় প্রভাব ফেলতে পারে। তবে সাধারণত এই অবস্থা গুরুতর নয় এবং মৌসুমি। ঠান্ডা আবহাওয়া আসলে শরীর স্বাভাবিক হয়ে যায়। তাই এটি নিয়ে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার প্রয়োজন নেই। বরং স্বাস্থ্যকর অভ্যাস যেমন—ঢিলেঢালা পোশাক পরা, বেশি করে জল পান করা, এবং গরমে দীর্ঘক্ষণ বাইরে না থাকা—এগুলো মেনে চললে সমস্যার প্রভাব অনেকটাই কমানো সম্ভব।
