ভারতে, পোস্ট অফিসের পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (পিপিএফ) স্কিম সসমসময়েই খুব জনপ্রিয় বিনিয়োগ বিকল্প। এই স্কিম নিরাপদ এবং ভাল রিটার্নও দেয়। এই সরকারি সঞ্চয় প্রকল্প বিনিয়োগকারীদের দীর্ঘ সময় ধরে টাকা জমা করে কোটি কোটি টাকার তহবিল সংগ্রহ করতে দেয়। সবচেয়ে ভাল দিক হল এই স্কিমতে শুধু আকর্ষণীয় সুদই নয়, এতে মেলে কর সুবিধাও। বিনিয়োগকারীরা যদি ধারাবাহিকতা এবং সুশৃঙ্খলা বজায় রেখে টাকা জমা করেন, তাহলে ভবিষ্যতে এই স্কিম থেকে বৃহৎ তহবিল তৈরি করা সম্ভব।
2
6
কেন পিপিএফ-কে একটি নিরাপদ এবং লাভজনক বিনিয়োগ বিকল্প হিসাবে বিবেচনা করা হয়?
পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ডে বিনিয়োগের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এর সরকারি গ্যারান্টি, স্থিতিশীল সুদের হার এবং কর ছাড়। বর্তমানে, পিপিএফ স্কিমে বার্ষিক সুদের হার ৭.১ শতাংশ। এটি আয়কর আইনের ৮০সি ধারার অধীনে ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর ছাড়ের সুবিধাও দেয়। এই স্কিমটি যেকোনও ভারতীয় নাগরিক সহজেই খুলতে পারেন।
3
6
পিপিএফ-এর ১৫+৫+৫ বিনিয়োগ কৌশল কী? পিপিএফের মূল মেয়াদপূর্তির সময়কাল ১৫ বছর, তবে বিনিয়োগকারীরা এই স্কিম আরও ৫ বছরের জন্য বাড়িয়ে দিতে পারেন। যা ১৫+৫+৫ কৌশল নামে পরিচিত। ফলে এই স্কিমের অ্যাকাউন্টটি মোট ২৫ বছর ধরে জারি থাকে। দীর্ঘ সময়ের জন্য বিনিয়োগ চালিয়ে গেলে চক্রবৃদ্ধি হারে সুদের সুবিধা মেলে, যার ফলে একটি বৃহৎ তহবিল তৈরি হয়।
4
6
২৫ বছরে এক কোটি টাকার তহবিল কীভাবে তৈরি করা যায়? যদি একজন ব্যক্তি প্রতি বছর ১.৫ লক্ষ টাকা জমা করেন, তাহলে প্রথম ১৫ বছরে মোট বিনিয়োগ হবে ২২.৫ লক্ষ টাকা। এই সময়ের মধ্যে, আনুমানিক ১৮.১৮ লক্ষ টাকা সুদ হিসেবে অর্জিত হবে। যার ফলে মোট পরিমাণ প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা হবে। যদি এই পরিমাণ পরবর্তী ৫ বছর ধরে উত্তোলন ছাড়াই বিনিয়োগ করা হয়, তাহলে ২০ বছরে তা প্রায় ৫৭.৩২ লক্ষ টাকায় পৌঁছাবে। আরও পাঁচ বছর ধরে অ্যাকাউন্ট চালিয়ে গেলে মোট পরিমাণ প্রায় ৮০.৭৭ লক্ষ টাকা হবে।
5
6
যদি একজন বিনিয়োগকারী পুরো ২৫ বছর ধরে প্রতি বছর ১.৫ লক্ষ টাকা জমা রাখতে থাকেন, তাহলে মোট তহবিল আনুমানিক ১.০৩ কোটি টাকায় পৌঁছবে। এই তহবিল সম্পূর্ণ নিরাপদ, আর্থিক নিরাপত্তা প্রদান করে এবং ভবিষ্যতে বড় আর্থিক লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করে।
6
6
সুদ এবং মাসিক আয় ২৫ বছর পরেও অব্যাহত থাকবে: পিপিএফ অ্যাকাউন্ট ২৫ বছর পরেও বাড়ানো যেতে পারে। যদি ততক্ষণে ১.০৩ কোটি টাকার তহবিল জমা হয়ে থাকে, তাহলে সেটি ৭.১ শতাংশ বার্ষিক সুদের হারে প্রায় ৭.৩১ লক্ষ টাকা বার্ষিক আয় করতে পারে, অর্থাৎ প্রতি মাসে ৬১,০০০ টাকা। এটি একটি শক্তিশালী এবং স্থিতিশীল অবসর আয়ের বিকল্প হিসেবে প্রমাণিত।