অনিদ্রা- হাই ওঠার সবচেয়ে বড় কারণ ঘুম না হওয়া। যারা দীর্ঘদিন অনিদ্রার সমস্যায় ভোগেন তাদের শরীরে ক্লান্তি কাটে না। ফলে হাই উঠতে থাকে। ভাল করে ঘুমালে এই সমস্যা অনেকটাই কেটে যায়।
2
7
নারকোলেপসি- ঘুমের একটি সমস্যা হল নারকোলেপসি। এতে কোনও ব্যক্তি যে কোনও সময় যে কোনও জায়গায় হঠাৎ ঘুমিয়ে পড়তে পারেন। এই রোগে, রোগী দিনের বেলায় অনেক সময় ঘুমিয়ে থাকেন, যার কারণে বেশি হাই ওঠে। এছাড়াও কিছু ক্ষেত্রে মেটাবলিসম সম্পর্কিত রোগ, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমে গেলেও হাই উঠতে থাকে।
3
7
ওষুধের প্রভাব- নির্দিষ্ট কোনও ওষুধের প্রভাবেও অতিরিক্ত হাই উঠতে পারে। কাশি কমানোর বা স্নায়ুর কোনও রোগের ওষুধ খেলে অনেকেরই আচ্ছন্ন ভাব থাকে। আবার পার্কিনসন্স বা স্কেলেরোসিসের মতো রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের অত্যধিক হাই উঠতে দেখা যায়।
4
7
আয়রনের ঘাটতি- দেহে অক্সিজেনের ঘাটতির পিছনে আয়রনের ঘাটতিও দায়ী হতে পারে। রক্তে অক্সিজেন বহনের কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আয়রন। যখন দেহে এই মিনারেলের ঘাটতি থাকে, তখন শরীরের সব অংশে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পৌঁছয় না। তখন শারীরিক জটিলতা বাড়ে এবং হাই ওঠে।
5
7
শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে- কারও শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে গেলেও হাই উঠতে পারে। এক্ষেত্রে গরম চা বা কফি খেলে যদি সমস্যা কমে যায়, তাহলে বুঝবেন শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণেই হাই উঠছিল।
6
7
উদ্বেগ-অত্যধিক মানসিক চাপ এবং উদ্বেগের মধ্যে থাকলেও অনেকের অতিরিক্ত হাই ওঠে। কোনও বিষয় নিয়ে মনের মধ্যে ভয়ের উদ্রেক হলেও এমন সমস্যা দেখা দিতে পারে।
7
7
হার্টের সমস্যা- শরীরে অক্সিজেনের জোগান অব্যহত রাখতে অনেক সময়েই অতিরিক্ত হাই উঠতে দেখা যায়। পর্যাপ্ত অক্সিজেন না পৌঁছলে হার্টের রোগ দেখা দিতে পারে। তাই হার্টের সমস্যার অন্যান্য লক্ষণের পাশাপাশি যদি অতিরিক্ত হাই ওঠে তাহলেও দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।